জনি আহমেদ, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন,
অধিকাংশ মানুষ চকচক করা চাল পছন্দ করে। তারা মনে করে চকচক করা চালেই পুষ্টি বেশী। তাদের এই ধারনা ভ্রান্ত, কেননা লাল চালেই রয়েছে বেশী পুষ্টিগুণ। খাদ্য অধিদপ্তর কার্নেল ফ্যাক্টরিতে চালে ছয় ধরনের পুষ্টি মিক্সিং করে জনসাধারণকে বিতরণ করছে বলে জানান তিনি।
তিনি আজ রবিবার দুপুরে নিয়ামতপুর পরিষদের নবনির্মিত হল রুমে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইন বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকবান্ধব বর্তমান সরকার কৃষকের জন্য সার,বিদ্যুৎসহ কৃষি উপকরণে ভর্তূকি দিচ্ছে। উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন কৃষকের চাষাবাদকে সহজ করে দিয়েছে। ফলে দেশ খাদ্য প্রায় সয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এখন নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কৃষক অনেক সময় না বুঝে তার উৎপাদিত শাকসবজি ও ফলমুলে কীটনাশক ব্যবহার করে উল্লেখ করে বলেন, তাদেরকে এর সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। কীটনাশক ব্যবহারের কতদিন পর সেটা বাজারজাত করা যায় তাও জানাতে হবে।
তিনি আরো বলেন,উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা ছিল একসময়। তখন ধান উৎপাদন কম হতো, তামাক হতো বেশী। তখন নিরাপদ আর পুষ্টিকর খাবারের কথা চিন্তা করা যায়নি। পেট ভরাই তখন ছিল মূল লক্ষ্য। এখন বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় সয়ংসম্পূর্ণ। আমরা জনগণকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে কাজ করছি বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইউব হোসাইন মন্ডল ও ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম,নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবির, আরো উপস্থিত ছিলেন,নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ, নিয়ামতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবাস কান্ত সরকার, নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন,সাধারণ সম্পাদক জনি আহমেদ, এবং ৮ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নওগাঁ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার চিন্ময় প্রামানিক।
পরে খাদ্যমন্ত্রী এডিপির অর্থায়নে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন।