![](https://pataka24.com/wp-content/uploads/2016/07/আ-স-ম-আবদুর-রব.jpg)
ঐক্যবদ্ধভাবেই সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূলে হাওয়াই প্রস্তাব দিচ্ছে সরকার। আন্তরিক থাকলে এখনই কনভেনশন ডাকতো। যার মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠতে পারতো। কিন্তু সরকার তা করছে না। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অপরিহার্য ‘জাতীয় ঐক্য’ না করলে জাতি ভয়াবহ সংকটে পড়বে।
সারাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ বিরোধী সমাবেশ-মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সমাবেশে আ স ম আবদুর রব একথা বলেন।
আ স ম রব আরো বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবেই সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূল করা সম্ভব। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-ধর্মান্ধ-ফ্যাসীবাদ-সাম্রাজ্যবাদ-দলবাজ ও এক কেন্দ্রিক ক্ষমতা দখলকারী এরা সবাই একই ধারা ও গোত্রের অন্তর্ভূক্ত। একক দল বা সরকারের প্রশাসনিক শক্তি দিয়ে জাতিকে এর মোকাবেলা সম্ভব নয়। এটি ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে স্বাধীন দেশের উপযোগী রাজনীতি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা গড়ে না তোলা এবং দুই জোটের ক্ষমতার লড়াইয়ের ফলেই বর্তমান সংকট ও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এদের পক্ষে এ সংকট থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব নয়। এ জন্যই আমরা জাতীয় কনভেনশন ডাকার আহবান জানিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, ’৬৯-৭১ এ আমরা গ্রামে গ্রামে জনগণকে সাথে নিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছিলাম। আজকে শুধুমাত্র সরকারি দল বা সরকারের আহবানে সরকার সমর্থক বা দলীয় কমিটি হবে, সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি গড়ে উঠবেনা। এ জাতি সমগ্র জনগনকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এক নায়ক ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করে লাখ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী জাতি। আজও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করলে আমরাই আমাদের এ সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। এখানে বিদেশীদের আসার প্রয়োজন নাই।
জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেন, সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূলে সরকার কনভেনশন না করলে বা কার্যকরভাবে ঐক্যের আহবান না জানালে ভবিষ্যতে তাদের ডাকে আর কেউ সাড়া দেবে না। তখন প্রমাণিত হবে এই সরকার আসলে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূলে আন্তরিক না।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, এম এ গোফরান, আতাউল করিম ফারুক, মো: সিরাজ মিয়া, মিসেস তানিয়া ফেরদৌসী, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, আবদুর রাজ্জাক রাজা প্রমুখ।
এদিকে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে তাদের ডাকে আজ চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নাটোর, গাইবান্ধা, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, যশোর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি, বরিশাল, পাংশা, নারায়নগঞ্জে ওই কর্মসূচি পালিত হয়।