ফেনী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ফেনীর সাইফুল ইসলাম আরিফ (২১) মারা গেছেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কৌশল্যা গ্রামের আলতাফ হোসেনের একমাত্র ছেলে।
সাইফুলের বাবা জানান, তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার বড় ছিলেন সাইফুল। তিনি সিন্দুরপুর ইউনিয়নের দরবেশের হাট ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলতাফ ও তার ছেলে সাইফুল চট্টগ্রামের মাদারবাড়িতে মোটর পার্টসের দোকানে কাজ করতেন। ৪ আগস্ট দোকানের সামনে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী মিছিল যাওয়ার সময় সাইফুল অংশ নেন। সিআরবি পর্যন্ত গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে নেয়া হয়। সেখান থেকে তার অবস্থার অবনতি হলে ৯ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহতের ৫৬ দিন পর সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
ছাত্র আন্দোলনের ফেনী জেলা সমন্বয়ক আবদুল আজিজ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফেনীর ১২ জন নিহত হয়। এর মধ্যে মহিপালে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে ঘটনাস্থলে আটজন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ও নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে অংশ নিয়ে ফেনীর আরো চারজন নিহত হয়। মন্ত্রণালয়ে মোট ১২ জন শহীদের তালিকা পাঠিয়েছি।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা জানান, নিহত আরিফের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে লাশ এলাকায় আনা হলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় দাফন সম্পন্ন করা হবে।