
আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের ঘিওরে টাকা চুরির অপরাধে ১০ বছরের এক শিশুকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে সোমবার নির্যাতনের শিকার শিুর বাবা মামলা করলে ঘটনার সাথে ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে গত বুধবার উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের করজনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশু রাসেল করজনা গ্রামের মো: মজনু মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। নির্যাকনকারী করজনা গ্রামের খৈমুদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, একই গ্রামের মেহের কান্তি রায়ের ছেলে সনোজ কান্তি রায় ও সচিন দে মন্ডলের ছেলে বিধান মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে ঘিওর থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৬ আগস্ট দুপুরে করজনা বাজারের মুদী ব্যবসায়ী শাহজাহান শিশু রাসেলকে তার দোকানের সামনের বেঞ্চে বসিয়ে রেখে পাশের নদীতে গোসল করতে যায়। গোসল শেষে শাহজাহান দোকানে এসে শিশুকে বাড়ি যেতে বলে।
বাড়িতে আসার পথিমধ্য টাকা চুরি করার অপবাদে ব্যবসায়ী শাহজাহান শিশুটিকে বাজারে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তার দোকান থেকে ১৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে, এই টাকা উদ্ধারে শিশটিকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। স্থানীয় সনোজ কান্তি রায় (৩৮), বিধান (৩৩), মনোজ কান্তি রায় (৪৩) সহ আরো কয়েকজন মিলে শিশুটিকে লোহার রড় ও লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করলে শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পরে। শিশুটির হাটু ও গুড়ালীর মাঝখানে মারত্নক জখম হয় এবং পায়ের হাড় ভেঙে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশীর সহায়তায় বড় ভাই রাব্বি শিশু রাসেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী শিশুর পিতা মজনু মিয়া বলেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার ছেলেকে অমানুষিকভাবে মেরেছে। আমি এর ন্যায্য বিচার চাই।
ঘিওর থানার ওসি মো: আমিনুর রহমান বলেন, টাকা চুরির অপবাদে শিশুটিকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঘিওর থানার মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত শাহজাহান, সনোজ কান্তি রায় ও বিধান মন্ডলকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।