চুক্তি ছাড়াই শেষ ট্রাম্প-কিম বৈঠক
কোরীয় উপদ্বীপে নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গে কোনো রকম চুক্তি ছাড়াই এবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের দ্বিতীয় বৈঠক সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা যায়। গত বছর সিঙ্গাপুরে প্রথম দফা বৈঠকের পর ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে দুই দেশের নেতার মধ্যে দ্বিতীয় দফায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আজ বৈঠক শেষ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভিয়েতনাম ছেড়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্সের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ‘এবারে কোনো চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। তবে দুই দেশের প্রতিনিধিদল ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আরো বৈঠকের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।’
ট্রাম্প-কিমের এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে স্পষ্ট চুক্তি ও অগ্রগতি হবে বলে সবাই আশা করছিলেন। কিন্তু তেমন কোনো ফলাফল ছাড়াই শেষ হলো এবারের বৈঠক।
যদিও উত্তর কোরীয় নেতা কিম বৈঠকে উপস্থিত হওয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে তাঁর আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অভিহিত করেন।
এদিকে এ বৈঠক প্রসঙ্গে শিগগিরই ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানা গেছে।
গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরের বৈঠকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে সফল আলোচনা হয় বলে ট্রাম্প দাবি করলেও বৈঠকের পর পরই ট্রাম্পকে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়। বিরোধীরা বলতে থাকে যে নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা হলেও তা কবে নাগাদ কীভাবে করা হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো আলোচনাই হয়নি। ফলে নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার সাফল্য নিয়ে সংশয় পোষণ করা হয়।
পরে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে দুই দেশেরই উচ্চ পর্যায়ের কথাবার্তা চলতে থাকে। নিরস্ত্রীকরণ কার্যক্রমে দুই দেশ একে অপরের ভূমিকাকে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনাও করে।
এরই মাঝে দ্বিতীয় দফার বৈঠকেও স্পষ্ট কোনো চুক্তিতে না পৌঁছানোকে সমালোচকরা কীভাবে দেখবেন বা ট্রাম্প কীভাবে সমালোচকদের মোকাবিলা করবেন, এবারে তা দেখার পালা।