
নিজস্ব প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ: উজ্জ্বল ফকির নামে এক মালিকের ওপর হামলা ও কাউন্টার ভাংচুরের প্রতিবাদে চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করা হয়েছে।
যাত্রী বহন নিয়ে দ্বন্ধের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান আগামী তিন দিনের মধ্যে লঞ্চ ও স্প্রিড বোর্ড মালিকদের নিয়ে বসে সুষ্ঠু সুরাহা করবেন।
এই আশ্বাসে বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা থেকে নৌপথ দুইটিতে সকল প্রকার লঞ্চ চলাচল শুরু করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে যাত্রী বহনকে কেন্দ্র করে স্প্রিড বোর্ড মালিক পক্ষের শিবালয় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আলী আহসান মিঠুর নেতৃত্বে মিতুল, উজ্জল ও রতনসহ অন্তত ৩০-৪০ জন ওই লঞ্চ মালিক উজ্জ্বলের ওপর হামলা করেন বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন।
এই হামলার প্রতিবাদে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হলে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারো যাত্রী।
উজ্জ্বল ফকির সাংবাদিকদের জানান, প্রায় বছর খানেক ধরে দুইটি নৌপথেই আলী আহসান মিঠুর নেতৃত্বে অবৈধভাবে স্প্রিড বোর্ডে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপরও চলাচল বন্ধ হয়নি এসব স্প্রিড বোর্ড।
এরই মধ্যে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লঞ্চ যাত্রীদের টেনে স্প্রিড বোর্ডে নেয়ার সময় তিনি (উজ্জ্বল) বাধা দেন।
এর পরপরই আলী আহসান মিঠুর নেতৃত্বে ওইসব লোকজন এসে তার ওপর হামলা করেন। এ সময় হামলাকারীরা লঞ্চ কাউন্টার ভাংচুর ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যান।
এই হামলার প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুপুর ১২টা থেকে স্থানীয় মালিক সমিতি দুইটি নৌপথেই সাময়িকভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেন বলেও জানান উজ্জ্বল।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, ওই ঘটনার পরে আরিচার চার নম্বর ঘাটে উভয় পক্ষের লোকজন নিয়ে বসা হয়। বিষয়টি সুরাহা করতে উভয় পক্ষই স্থানীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপ কামনা করায় রাজিও হয়েছেন তিনি।
আর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. ফরিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে বসে উভয় পক্ষই একটি সিদ্ধান্তে পৌছেছে। এরপর থেকে আবার দুইটি নৌপথেই লঞ্চ চালু করা হয়েছে।