চকবাজার ট্রাজেডি : মৃতের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে গেছে

পুরনো ঢাকার চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। সকাল নাগাদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে যে মৃতের সংখ্যা ৭০ পেরিয়েছে।
যে ভবনে আগুন লেগেছিল সেখানে আগুন দেখা না গেলেও সকাল আটটা নাগাদ ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভবনের ভেতরে তল্লাশি চালানোর চেষ্টা করছিলেন ভেতরে আর কোনো লাশ আছে কিনা বা কেউ আটকে আছেন কি-না সেটি নিশ্চিত হতে।
গত রাত সাড়ে ১০টার পরে পুরনো ঢাকার চকবাজারে শাহী মসজিদের কাছে ‘ওয়াহিদ ম্যানসন’ নামের একটি ভবনে আগুন লাগার পর তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ শুরু করে তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত কিছু বলেনি কর্তৃপক্ষ।
যদিও ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক কর্নেল রহমান জানিয়েছিলেন যে, পুরনো ঢাকার সংকীর্ণ রাস্তার কারণে ঘটনাস্থলে দমকলের বড় গাড়ি ঢোকাতে সমস্যা হয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুতের তার এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির আধিক্যের কারণে ঘটনাস্থলের গাড়ি পৌঁছানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নেল রহমান।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনটির নিচতলায় লাগা আগুন ক্রমে ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে আগুন আশেপাশের ভাবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
ওদিকে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভবনটির নিচতলায় সুগন্ধি তৈরির একটি কারখানা ছিল এবং ভবনটির বেসমেন্টে গোডাউন ছিল।
এছাড়া, ভবনের পাশেই রাসায়নিকের গুদাম ছিল বলে অনেকেই বলছেন।
স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার পর ভবনের সামনে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন অনেকে।
২০১০ সালের জুনে পুরানো ঢাকার নিমতলীতে রাসায়নিকের কারখানায় আগুন ধরে ১২৪ জন নিহত হয়েছিলেন।
এরপর পুরানো ঢাকার আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের কারখানা বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
সূত্র : বিবিসি