sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড বাহামা দ্বীপপুঞ্জ

ক্ষয়ক্ষতি পারমাণবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞের মতো-ইউএসএআইডি

ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ানের আঘাতে লণ্ডভণ্ড বাহামা দ্বীপপুঞ্জের ক্ষয়ক্ষতিকে পারমাণবিক বোমার ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে তুলনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ইউএসএআইডি প্রধান মার্ক গ্রিন।
বিমানে করে দ্বীপপুঞ্জের গ্র্যান্ড বাহামা ও অ্যাবাকো দ্বীপের ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করেন ইউএসএআইডি প্রধান। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত রোববার বাহামা দ্বীপপুঞ্জে ৫ মাত্রার শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ রেকর্ড করা হয় ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার।
এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ে নিহত হয়েছেন ৪৩ জন। তবে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইউএসএআইডি প্রধান বলেন, ‘ধ্বংসের পরিমাণ দেখে আমি হতবাক হয়েছি।’
‘অ্যাবাকো ও বাহামার কিছু অংশে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আবার অনেক জায়গা এমনভাবে ধ্বংস হয়েছে, মনে হচ্ছে যেন সেখানে পারমাণবিক বোমা পড়েছে।’
ইউএসএআইডি জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি আশ্রয়, চিকিৎসাসেবা, খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা করতে বাহামা সরকারের সঙ্গে কাজ করছে সংস্থাটি।
ঘূর্ণিঝড়ের পর অ্যাবাকো ছেড়ে নাসাউ চলে যাচ্ছেন সেখানকার হাজারো বাসিন্দা। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা থেকে বিমান, জাহাজ, সরকারি নৌকার সাহায্যে অ্যাবাকো থেকে মানুষকে নাসাউ, বাহামার রাজধানী ও ফ্লোরিডায় সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে নাসাউয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে নাসাউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে আসা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত মানুষকে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে বেশ বেগ পেতে হবে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৭০ হাজার মানুষের খাদ্য ও আশ্রয় প্রয়োজন। বাহামা দ্বীপপুঞ্জের জনসংখ্যা প্রায় চার লাখ।
অ্যাবাকোর মার্শ হারবার এলাকার ৯০ ভাগ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button