প্রতিনিধি, ঘিওর, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রধান শিক্ষিকার বিচার ও অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসী। উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলহারা’র প্রধান শিক্ষিকা শিল্পী আক্তার জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার নানা দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার ও অপসারনের দাবীতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তারা। প্রধান শিক্ষিকার স্বামী একই বিদ্যালয়ের সভাপতি। স্বামী ও স্ত্রী মিলে আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তিকে শিক্ষক দেখিয়ে তার বেতনের টাকা আত্মসাৎ সহ বিদ্যালয়ের ব্রেঞ্চ ও বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিয়ে নিজ বাড়ির ফার্ণিচার তৈরীর অভিযোগ সহ নিয়োগের নামে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের আমলে পিঠের ব্যাগে করে আ’লীগের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে ঘুড়ে বেড়ানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সদ্য তার ফেসবুক পেইজে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রত্যয়ন পত্র ভাসছিলো। তার ফেসবুক পেইজের বরাতে ধরা পড়ে যান তিনি। তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগৃহীত আ’লীগের প্রত্যয়ন পত্রটি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন ইনবক্সে। ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ আলীম মিন্টু স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র নিয়েছিলেন গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৫ তারিখে। কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী আল-মামুনের নাম ঠিকানা ও পরিচয় মিলেছে সেই আ’লীগ প্রত্যয়ন পত্রে। মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলাধীন পয়লা ইউনিয়নের চরবাইলজুরী গ্রামের আল-মামুনের পিতার নাম মৃত নুরুল হক এবং মাতার নাম অজিফা বেগম। প্রত্যয়নে লিখা রয়েছে সে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আ’লীগ পরিবারের সন্তান।
গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে বিএনপি দলে ঘেষাঘেষি করার চেষ্টাকালে আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এলাকাবাসীর মুখে মুখে উঠে আসে নারী নির্যাতন, ধর্ষন,নাশকতা মামলা ও মোবাইল চুরির ঘটনাসহ দালালী ও চাটুকারীতাসহ তার বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগের কথা। মামলা ও হয়রানির হাত থেকে রেহাই পেতে তিনি বেছে নিয়েছেন অভিনব কায়দায় সাংবাদিক পরিচয়ের এই ছদ্ম বেশ। ২০২১ সালে দুই সন্তানের জননী মৃত এক পুলিশ অফিসারের বিধবা স্ত্রী রেশমী বেগম সাথে অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের জেরে মামুনের বাড়িতে গিয়ে উঠেন বিয়ের দাবীতে। দুই দিন সেই বাড়িতে থাকার পর তাকে মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে রেশমী বেগম কোর্টে মামলা করেছেন। সিংজুরী বাজারে মোবাইল চুরির ঘটনা প্রমাণিত হলে স্থারীয় লোকজনের মারপিটের কবলে পড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে গাজীপুরে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর একটি অনলাইন পোর্টালের কার্ড নিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে ফিরে আসেন এলাকায়।