slider

ঘাটাইলে ইফাত হত্যার খুনিদের ফাঁসি’র দাবিতে মানববন্ধন

রুনিয়া আক্তার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর ইফাত হত্যার খুনিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (২০ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার সরাশাক গ্রামে প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ও ইফাদের বন্ধুরা মিলে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় বক্তারা, ইফাতের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি “ফাঁশি চাই” বলে স্লোগান নিয়ে গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে খুনিদের বিচার দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য থাকে যে,টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ইফাত তালুকদার(১৯)নামে এক যুবকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর)বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তার মৃত্যু হয়।

জানা যায়, ইফাত তালুকদার উপজেলার সরাশাক গ্রামের হেলাল তালুকদারের ছেলে। পরিবারের অভিযোগ মামলা হলেও আসামিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছে পুলিশ।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয়রা জানায়,শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সরাশাক গ্রামের স্থানীয় আব্দুল লতিফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খেলতে যান ইফাত। খেলার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয় মো.রবিন ও তার অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে। কথা না বাড়িয়ে স্কুল মাঠ থেকে চলে আসেন ইফাত। স্কুলের পাশেই এক দোকানে বসে সে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এমন সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করেন সরাশাক গ্রামের কাদের মন্ডলের ছেলে মো.রবিন (২৬), মো.আবিদ (২২), মো.আজমীর ও একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে শাহপরান (২০)।

নিহত ইফাত তালুকদারের চাচা শাহাদৎ হোসেন তালুকদার বলেন, ইফাতকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসার সময় রাস্তায় ইফাতের ভাই ইমন ও আব্দুল্লাহর ওপর হামলা চালায়। আব্দুল্লাহর মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ইমন তালুকদারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেও ইফাত ও আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। টাঙ্গাইল হাসপাতালে ইফাতের অবস্থার অবনতি হলে শনিবার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান।
মেডিকেলের আইসিওতে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মঙ্গলবার বিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ইফাত তালুকদার।

এদিকে ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে ঘাটাইল থানায় নিহত ইফাতের ভাই ইমন তালুকদার বাদী হয়ে মামলা করেন।

ইফাতের চাচা শাহাদৎ হোসেন তালুকদার আরও জানান, আসামিরা এলাকায়ই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর আসামিদের বাবা কাদের মন্ডল এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন টাকার পুতের মরণ নাই যদি না নেয় জমে। পুলিশেরে টাকা দিয়া আইছি লাগলে আরও দিমু।

শাহাদাৎ হোসেনের অভিযোগ মামলা করার পর পুলিশ একবার গিয়েছিল। তারপর আর যায় নি।
ঘাটাইল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন,এ ঘটনায় শুক্রবার মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনার সঙ্গে জড়িত জয়নাল আবেদিন কে আটক করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button