
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতির মামলাটি বৈধ বলে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণ অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে। এর ফলে এ মামলায় আগামী দুই মাসের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বিচারপতি নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ৫ আগস্ট সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেন। সোমবার পূর্ণ রায় প্রকাশ করা হলো।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দুদক এই মামলায় ওই সময় যে অনুমোদন দিয়েছিলে তা আইন ও বিধি মোতাবেক ছিল।
একই সাথে ফৌজাদারি মামলা রিটে চ্যালেঞ্জ করা যায় না বলে পর্যবেক্ষণ দেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রাথমিক কিছু উপাদান রয়েছে, তাই এটি বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, এর ফলে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে এই মামলাটি চলতে আর কোনো বাধা নেই।
তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অবশ্যই নিম্ন আদালতে যাবেন বেগম জিয়া। একই সাথে এর বিরুদ্ধে আপিলও দায়ের করা হবে।
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার নথিতে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়, ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে অবৈধভাবে পাইয়ে দিয়েছিলেন। আর এতে রাষ্ট্রের প্রায় সাড় ১৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এমন অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এর পরের দিন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করলে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্ট। একইভাবে মামলা বাতিলে রুল জারি করা হয়।
এর পরের বছর ২০০৮ সালে মামলাটি শুরুর উদ্যোগ নেয়া হলে আবারও তা স্থগিত হয়ে যায়। পরে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলাটির স্থগিতাদেশের ওপর শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘদিন শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট মামলাটি নিয়ে জরুরি ক্ষমতা বিধিমালা চ্যালেঞ্জ ও দুদকের অনুমোদনের জন্য খালেদা জিয়ার ওই দুটি আবেদনই খারিজ করা দেয়া হয়।
এর ছয় মাস পর সোমবার আবেদন খারিজ করে দেয়া রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হলো।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দুদক এই মামলায় ওই সময় যে অনুমোদন দিয়েছিলে তা আইন ও বিধি মোতাবেক ছিল। নয়াদিগন্ত