দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃ দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর দক্ষিণ বাজার নাছির টাওয়ারে অবস্থিত দারুণ নাঈম দাখিল মাদরাসার নাজেরা বিভাগের শিক্ষক সোহরাব হোসেনকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেছে মডেল থানা পুলিশ। নাজেরা বিভাগের ৯ বছরের ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ আনেন ওই ছাত্রের মা। গত মঙ্গলবার রাতে সোহরাবকে থানা পুলিশ আটক করে এবং বুধবার তাকে কুমিল্লা কোর্টে প্রেরন করেন। সোহরাব জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হেলাল নগর গ্রামের জাকির হোসেনের পুত্র। ছাত্রের বাড়ি তিতাস উপজেলার দড়ি কান্দি গ্রামে। ছাত্রের মায়ের বক্তব্য তার ছেলেকে ওই শিক্ষকের রুমে নিয়ে শরীর ম্যাসেজ এবং ভয় দেখিয়ে বলাৎকার। এদিকে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, তাঁরা এমন অভিযোগ আগে জানলে তাঁরাই তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতেন। তবে জরুরি রেজুলেশন করে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং দোষী প্রমানিত হলে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে তিনি প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি আরো জানান, ওই ছাত্র সহ আরেকজন ছাত্রকে পড়াশোনায় মনোযোগ না দেওয়ায় মৃদু ব্যত্রাঘাত করা হয়েছিল, এর কারনে বিষয়টি ভিন্ন রূপ নিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্যও তিনি আবেদন করেন। মাত্র দু’মাস আগে সোহরাবকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয় এই সময়ে এমন অভিযোগ হওয়ায় শিক্ষক মন্ডলী হতবাক। দুবছর প্রতিষ্ঠিত হওয়া দারুণ নাঈম দাখিল মাদরাসায় প্রায় সাড়ে তিনশো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে, ২৬ জন শিক্ষক এবং ১০ জন কর্মচারী এখানে কর্মরত। মাদরাসার শিক্ষক মন্ডলী ও অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে মানসম্মত পড়াশোনা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা পরিচালিত এই মাদরাসায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাই এখানে কোনো রকম অনৈতিক কাজ বা পড়াশোনায় অবহেলার কোনো সুযোগ নেই বলে মাদরাসা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান অভিমত প্রকাশ করেন।