sliderআইন আদালতশিরোনাম

গৌরীপুরের শুভ্র হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৭ জনের মৃত্যুদন্ড

খায়রুল বাশার, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউসিসিএ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শুভ্র হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৩ জনকে। মামলায় ১৯ আসামির মধ্যে বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামিরা হলেন, মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদ উজ্জামান রিয়াদ, গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব আহমেদ রেজা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাম্মেল হক, খাইরুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন, রুহুল আমিন ও শরীফুল ইসলাম নাঈম।
যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিরা হলেন মাসুদ পারভেজ কার্জন, ছাত্রদলকর্মী শরীয়তউল্লাহ ওরফে সুমন ও যুবদলকর্মী রাসেল মিয়া। বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম, সৈয়দ মাজাহারুল ইসলাম জুয়েল, ছাত্রদলকর্মী রিফাত, মো. আবু হানিফা, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুবদলকর্মী মজিবুর রহমান, কামাল মিয়া ও শাজাহান মিয়া।
এর আগে ৬ অক্টোবর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। ৬ অক্টোবর এ রায়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। ওইদিন যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক মনির কামাল আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২০ সেপ্টেম্বর থেকে এ যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়েছিল। গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মাসুদুর রহমান শুভ্রকে ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর পৌর শহরের পানমহালে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বিচার চেয়ে শুভ্রর ছোটভাই আবিদুর রহমান প্রান্ত বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা করেন।
জানা যায়, গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান শুভ্র। ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর শহরের মধ্যবাজার পানমহালে নির্মমভাবে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন বিচারের দাবিতে টানা ২১ দিন সড়ক অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। ২০২১ সালের ৫ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (বর্তমানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো. শাহ কামাল আকন্দ।
প্রতিবেদনে চার্জশিটভুক্ত ১৪ জন ছাড়াও মামলার তদন্তকারী অফিসার অনুসন্ধানে আরও ৫ জনের সম্পৃক্ত পাওয়ায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে এ প্রতিবেদন দেয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button