sliderস্থানীয়

গোয়াইনঘাটে চোরাচালান লাইন পাচিং করতে সন্ত্রাসী ভুমিকায় কে এই কামরুল ?

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: সিলেট জেলার সীমান্ত এলাকার গোয়াইনঘাট উপজেলায় চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতে পরছেনা স্থানীয় থানা পুলিশ। রাত হলে উপজেলার সদরের কাছে পুলিশের একটি চেকপোষ্ট বসানো হয় চোরাচালান প্রতিরোধ করতে। কিন্তু সেখানে পুলিশের চোরাচালান প্রতিরোধী কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় এলাকায় কতিপয় যুবক। তারা নিজেদের নির্দিষ্ট একটি দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে পুলিশ চেক পোষ্টের কাছে দাড়িয়ে থাকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে। চোকপোষ্ট এলাকায় কোন চোরাইগাড়ি আটক করলেই সে সব যুবক দেশীও অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যদের জিম্ম করে নিজেরাই চোরাচালানের গাড়িগুলো চেকপোষ্ট পার করে দিচ্ছে। বিনিময়ে প্রতিটি গাড়ি থেকে তারা আদায় করছে ১ থেকে ১০ হাজার টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেই সব যুবকদের দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন লেংগুড়া এলাকার কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। রাত হলেই তিনি তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে গোয়াইনঘাট বাইপাস এলাকায় মহড়া দিয়ে ভারতীয় চিনিসহ বিভিন্ন ধরনের পন্য পুলিশের সামন দিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে যেতে সাহায্য করেন। তার কাছে খোঁদ থানা পুলিশও এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। ফলে কিছুতেই সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না থানার পুলিশ সদস্যরা। কামরুল বাহিনী পুলিশের কাছেও এখন এক আতংকের নাম। তার আতংকে গোয়াইনঘাটের সাধারণসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

অভিযোগ রয়েছে, চোরাচালানের মালামাল আটক করতে পুলিশ রাস্তায় চেকপোস্ট বসালে সেখানে গিয়ে হাজির হয় কামরুলসহ তার দলবল। তারা সেখানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যদের জিম্মি করে চোরাই পথে আসা পণ্যবাহি গাড়ি গুলো পার্সিং করে দেয় চেকপোষ্ট এলাকা। এ জন্য কামরুল প্রতি গাড়ি থেকে ১ থেকে ১০ হাজার টাকা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে পুলিশের এক সদস্য বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আতংকে থাকি। রাতে আমার পুলিশ সদস্য সংখ্যায় কম থাকায়, কামরুলসহ তার দলবলের লোকজন এসে আমাদেরকে এক রকম জিম্মি করে ফেলে, যার ফলে আমরা চোরাচালানের গাড়িগুলো আটক করতে পারিনা। বিষয়টি থানার ওসির নজরে নিয়ে আসা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button