গোবিন্দগঞ্জে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাখ টাকার গাছ গোপন প্রক্রিয়ায় বিক্রির অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শুরু হয়েছে ওপেন টেন্ডারের নামে গোপন প্রক্রিয়ায় লাখ-লাখ টাকার মুল্যবান গাছ নামমাত্র মুল্যে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝড়ে পড়া, গাছের ডাল ভাঙ্গা সহ নানা অযুহাত দেখিয়ে কোন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই যোগসাযসি ভাবে ওপেন টেন্ডারের নামে গোপন পক্রিয়ায় লাখ-লাখ টাকার মুল্যবান গাছ নিজেদের মধ্যেই দর দাতা দেখিয়ে নাম মাত্র মুল্যে বিক্রির হিড়িক পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে রিপোর্ট প্রস্তুত কালে এলাকাবাসী জানায়, শাখাহার ইউনিয়নের বৈরাগীর বটতলা দাখিল মাদ্রাসার ৪০টি বিভিন্ন প্রজাতির ২ লক্ষাধিক টাকার গাছ ওপেন টোন্ডারে মাত্র ৪৬ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়। এবিষয়ে গাছগুলি ক্রয় করা ব্যাপারী শম্ভু নাথ বর্মন বলেন, বৈরাগীর হাট বটতলা দাখিল মাদ্রাসার ৪০টি গাছ ১ লাখ ৮হাজার টাকায় কিনেছি। তবে গাছের দাম ২লক্ষাধিক টাকা মুল্য হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন? করলে তিনি বলেন, আরও খরচ আছে যে কারনে সরকারী গাছ ক্রয়, বিক্রয়ে দাম, এদিক ওদিক হয়ে থাকে।
ওপেন টেন্ডারের বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, মাদ্রাসার গাছ বিক্রি কমিটির সভাপতি ইউএনও সাহেব, দাম কম হয়েছে, নাকি বেশী হয়েছে, সেটা ইউএনও সাহেবকে জিজ্ঞাসা করেন।
ওপেন টেন্ডারের বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রাজ্জাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শক্রবারে আপনারা কেন আসছেন। আগামী কাল আসেন। এই বলে মোবাইলের লাইন কেটে দেন।
এদিকে শাখাহার ইউনিয়নের শহরগছি আদর্শ আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার লক্ষাধিক টাকা মুল্যের ২টি বড় সাইজের রেন্ট্রি কড়াই গাছ মাত্র ১৫ হাজার টাকায় একি প্রক্রিয়ায় বিক্রি হয়েছে।
এবিষয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আবুল কাসেম বলেন, ইউএনও সাহেবের নির্দেশে ৩৫ হাজার ৫শ টাকায় ওপেন টেন্ডারে গাছ বিক্রি করা হয়েছে।
অপরদিকে রথের বাজার স্কুলের বহুপুরাতন একটি অর্ধলক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ একি প্রক্রিয়ায় ১২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপেন টেন্ডার গাছ বিক্রি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা ফরেষ্টার মিজানুর রহমান বলেন, ওপেন টেন্ডার কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার, আমি মেজারমেন্ট করে দাম নির্ধারন করি। তবে দাম কম-বেশী করি না।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ফরেষ্টার বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলার বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।