সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সম্প্রতি গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় চলমান মেট্টোরেল প্রকল্পের কাজে কোনো প্রভাব পড়বে না।
ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাবু বাজার ব্রিজে বিআরটিএ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান।
সেতুমন্ত্রী জানান, গুলশানের সন্ত্রাসী হামলার প্রাণে বেঁচে যাওয়া জাপানের নাগরিক ওতানাবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন এজিন্সির (জাইকা) অধীনে ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছিলেন।
ওতানাবে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও ওই সন্ত্রাসী হামলায় তিনি আহত হন। বর্তমানে তিনি টোকিওর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওতানাবে পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বলেছেন, তিনি আবারো ফিরে এসে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজে যোগদান করবেন। সেতুমন্ত্রী আরও জানান, গুলশানের হামলায় আরো ৫ জন জাপানী বিশেষজ্ঞ নিহত হন। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে এ মানের বিশেষজ্ঞ হয়তো পাওয়া যাবে না, তবে তাদের অনুপস্থিতে এ প্রকল্পের কাজের তেমন প্রভাব পড়বে না।
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে দুর্ঘটনারোধে এবং শৃংখলা ফিরিয়ে আনাটাই হলো সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। আজও রাজধানীতে ৪টি মোবাইল কোর্ট কাজ করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মোট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, পাতাল ট্রেন লাইন এবং ফ্লাইওভার যতই হোক না কেন, চালক ও জনগণের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে এ খাতে শৃংখলা ফিরে আসবে না। এখনো রাজধানীতে মোটরসাইকেল চালানোর সময় আনেকে হেলমেট ব্যবহার করেন না। এটা নিঃসন্দেহে একটা খারাপ দিক। এ ধরনের সংস্কৃতি পরিহার করতে হবে এবং ট্রাফিক আইন মেনে যানবাহন চালাতে হবে। হেলমেট ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হতে পারবেন না, আর বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোটরসাইকেলে শিশু ও দুই জনের বেশি মানুষ উঠানো যাবে না। বাসস