নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে চাকরি থেকে অব্যহতি নেওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও সুপ্রকাশ পাল নামে একজন কর্মীর বেতনভাতার আট লাখ টাকা পরিশোধ না করাসহ মূল শিক্ষা সনদ ও নম্বরপত্র আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে সিধুলাই স্ব-নির্ভর সংস্থার নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে। ম্যানেজার (একাউন্টস) পদ থেকে বিধি মোতাবেক গত ২৭ মার্চ অব্যহতিপত্র জমা দেন তিনি।
সুপ্রকাশ পাল অভিযোগ করে বলেন, ২০০২ সালে সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। শুরুতে গুরুদাসপুর শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগাদান করেন সুপ্রকাশ পাল। চাকরিতে যোগদানের সময় প্রার্থীর সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ ও নম্বরপত্র জামানত হিসেবে রাখা হয় সংস্থাটিতে।
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংস্থাটিতে কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর আঞ্চলিক অফিসে ম্যানেজার (একাউন্টস) পদে দায়িত্ব পালন করেন সুপ্রকাশ পাল। এই দায়িত্ব পালনকালে চলতি বছরের ২৭ মার্চ গুরুদাসপুর প্রকল্প কার্যালয়ে অব্যহতিপত্রটি জমাদেন তিনি।
কিন্তু অব্যহতিপত্র জমা দেওয়ার পরও তাঁর বকেয়া থাকা বেতনভাতার আট লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করা হয়নি। ফেরত দেওয়া হচ্ছেনা শিক্ষা মূল সনদ ও নম্বরপত্রগুলো। বিষয়টি নিয়ে নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসানাত মোহাম্মদ রেজোয়ানের সাথে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছেন সুপ্রকাশ পাল।
নিরুপায় হয়ে বকেয়া বেতনভাতা পরিশোধ ও শিক্ষার মূল সনদগুলো ফেরত পেতে স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসকসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (অভিযোগ নম্বর ৩০/২২) কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সুপ্রকাশ পাল।
সুপ্রকাশ পাল অভিযোগ করে বলেন অব্যহতিপত্র জমা দেওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও বেতনভাতার আট লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করছেন না সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক। এছাড়া শিক্ষার মূল সনদপত্রগুলো আটকে রাখায় অন্যত্র চাকরির আবেদনও করতে পারছেন না। ফলে অমানবিক জীবন যাপন করছেন তিনি।
এব্যাপারে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক আবুল হাসানাত মোহাম্মদ রেজোয়ানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে ( ০১৭১৩ ২৪৫১১৯ ও ০১৭১৩ ০৬২৬২১) কল ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।