
দেশ যেভাবে চলার কথা, সেভাবে চলছে না দাবি করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মারাত্মক চাপের মুখে আছেন। চারপাশে যাদেরকে বসিয়েছেন তারা কেউ উপযুক্ত নয়। যোগ্যতাসম্পন্ন লোকদের দিয়ে কাজ না করালে একটি প্রতিষ্ঠানে ও একটি দেশে যে দুর্বলতা দেখা দেয় দেশে এখন তাই হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা দেশের সংকটে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে কখনও কখনও দেশেরও বিরোধিতা করি। বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করবে, সরকার বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কথা বলবে কিন্তু দেশের মানুষ কী ভাবছে সরকার ও বিরোধী দল তার পরোয়া করে না। গণতন্ত্রে সরকারের অনুমতি নিয়ে মিছিল-মিটিং করার কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারকে অবহিত করতে হয়। সরকার শুধু পাহারা দেবে।
বর্তমান সরকার কোনো বৈধ সরকার নয় দাবি করে তিনি বলেন, এটা নিজেরাও তা স্বীকার করে। একটি সরকার আছে গণতন্ত্রের সরকার অন্যটি হচ্ছে জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকা। এ সরকার জবরদস্তি করে আছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, জবরদস্তি করে থাকলে কখন পতন আসে তা বলা যায় না। দেশে কোনো নিয়ম-নীতি নেই। দেশের মানুষ কি ভাবছে সরকার তা বুঝতে পারছে না। এটা বড়ই দুর্ভাগ্য।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এক মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় তিনি বলেন, সরকারি দলের ওই চিকিৎসক নেতাকে যদি যথাযথ শাস্তি না দেয়া হয় তাহলে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এ সময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আবদুল হাই, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএম ছালেক হিটলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।