গণচীনে নির্মিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ওমর ফারুক ও আবু উবাইদাহ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মোংলার দিগরাজ নৌঘাঁটিতে পৌঁছেছে।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জাহাজ দুটিকে স্বাগত জানান খুলনা নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। দিগরাজ নেভাল জেটিতে নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নাবিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হতে যাওয়া আধুনিক এই যুদ্ধজাহাজ দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ১১২ মিটার এবং প্রস্থ ১২ দশমিক ৪ মিটার। আর এই জাহাজের প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলার সক্ষমতা রয়েছে। জাহাজ দুটিতে রয়েছে আধুনিক প্রযু্ক্তিসম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র্যাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট, র্যাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম। সার্বিকভাবে শত্রু বিমান, জাহাজ ও স্থাপনায় আঘাত হানার পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে জাহাজ দুটির।
এ ছাড়া হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য ডেক ল্যান্ডিংসহ জাহাজে সমুদ্রে উদ্ধারতৎপরতা, সন্ত্রাস, জলদস্যু দমন ও চোরাচালানবিরোধী অপারেশন পরিচালনার সক্ষমতা রয়েছে; বিশেষ করে বর্তমান সরকারের ব্লু ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বহরে যুক্ত হওয়া নতুন এ জাহাজ দুটি।
উল্লেখ্য, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ইতিমধ্যে নৌবহরে যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট। জাহাজ ওমর ফারুক ও আবু উবাইদাহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হলো।
২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর চীনের সাংহাইয়ের সেনজিয়া শিপ ইয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাকে যুদ্ধজাহাজ দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২৩ ডিসেম্বর জাহাজ দুটি সাংহাই বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে জানজিয়াং বন্দর ও মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দর হয়ে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার সমুদ্র পথ পাড়ি দিয়ে এ দেশে পৌঁছেছে।