রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, গঙ্গা-পদ্মার পানির নায্য হিস্যা আদায়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তারা বলেন, আজ থেকে ৪৮ বছর আগে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী যে উপলব্ধির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন আজ তা বাস্তবে ঘটে চলেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় ফারাক্কা লংমার্চের ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে হেরিটেজ রাজশাহী’র উদ্যোগে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে‘ফারাক্কা লংমার্চের ঐতিহাসিক পটভূমি ও মওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা একথা বলেন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এর প্রফেসর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী ড. সলিমুল্লাহ খান। হেরিটেজ রাজশাহী’র সভাপতি গবেষক ও লেখক মাহবুব সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও লেখক সরদার আবদুর রহমান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক যুগ্ম সচিব ও জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন, প্রফেসর ড. কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. তারেক ফজল, রাজশাহী বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ টি. জাহেদী, মাওলানা ভাসানীর পরিবারের সদস্য আজাদ খান ভাসানী প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন হেরিটেজ রাজশাহী’র সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান লাভলু।
সরদার আবদুর রহমান তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘মারণ বাঁধ ফারাক্কা’ অভিমুখে লাখো জনতার ঐতিহাসিক লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়। আজো এই দিনটি আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে দাবি আদায়ের পক্ষে প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।
অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, মওলানা ভাসানী সেদিন গুরুতর অসুস্থতা নিয়েই এই লংমার্চের নেতৃত্ব দেন জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে। এই নেতৃত্ব আজো দেশপ্রেমিক জনতার জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। সভায় অতিথিবৃন্দ এ উপলক্ষে প্রকাশিত একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।