লিটন দাসের ঝড়ো অর্ধশতকের উপর ভর করে খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। এই নিয়ে টানা দু’ম্যাচে হারল খুলনা। আগে ব্যাট করে খুলনা টাইগার্সের দেয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী রয়্যালস ।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে খুলনাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রাজশাহী।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। খুলনার হয়ে খেলা আফগান এ ওপেনার আন্দ্রে রাসেলের করা প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান। দ্বিতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি।
ব্যাটিং প্রমোশন নিয়ে ওপেনিং পজিশনে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের প্রথম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের করা পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন খুলনার এ ওপেনার।
ইনিংসের প্রথম ৫ বলে ৬ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ ও মিরাজের উইকেট হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়া দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই বিপদে পড়েন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
পঞ্চম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির করা ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মুশফিক। ঠিক পরের বলে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই কামরুল ইসলামের দ্বিতীয় শিকার শান্ত।
পরপর দুই বলে ২ উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। কিন্তু ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা জাতীয় দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া ওপেনার শামসুর রহমান শুভ রাজশাহীর পেসার রাব্বিকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি। শেষ পর্যন্ত সেই শামসুর রহমানের ৪৬ বলে ৫৫, রাইলি রুশোর ২৪ বলে ৩৫ ও রবি ফ্রাইলিঙ্কের ২৬ বলে ৩১ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের ৪৪ বলে ৫৮, আফিফ হোসেনের ২২, শেঅয়েব মালিকের ১৬, রবি বোপারার ১৩ ও আন্দ্রে রাসেলের অপরাজিত ১৯ বলে ২৮ রানে ভর করে ১৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ফেলে রাজশাহী।