sliderরাজনীতিশিরোনাম

খালেদা জিয়া নিজের বেশভূষার উন্নয়ন ঘটালেও নারী উন্নয়নে পদক্ষেপ নেননি: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে নিজের ও নিজের বেশভূষার উন্নয়ন ঘটালেও নারী উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেননি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে নারী অগ্রগতিতে অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। দেশে আজ নারীরা বিচারপতি, সচিব, জেনারেল হয়েছেন, যা আগে কেউ ভাবেনি। শেখ হাসিনাই সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে মায়ের নাম উল্লেখ বাধ্যতামূলক করেছেন। কারণ একজন মা কখনো সন্তানকে ছেড়ে যান না। অপর দিকে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে নিজের ও নিজের বেশভূষার উন্নয়ন ঘটালেও নারী উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার উদ্দেশ্যেই নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও স্বাধীনতাকে হত্যার চক্রান্তেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল, খন্দকার মোশতাকসহ সে সব বর্ণচোরা ষড়যন্ত্রকারীরা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে একটি অগ্রগতির উদাহরণ হয়ে উঠত, এশিয়ায় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার আগে মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শুনত, কিন্তু তাকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতার পর তিন কোটি গৃহহারা মানুষের একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ধ্বংসস্তূপ থেকে তুলে দাঁড় করিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা আমরা চার দশক পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ সালে অতিক্রম করতে পেরেছি। সদ্য স্বাধীন দেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সূচক পূর্ণ করে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, পৃথিবীর অনেক দেশ এখনো তা হতে পারেনি।
ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যাতে হত্যার বিচার না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল, জিয়া সেটাকে ১৯৭৯ সালে আইনে পরিণত করেন। একইভাবে ২০০২ সালে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনা করে প্রায় এক শ মানুষ হত্যা করে তার বিচার বন্ধেও ইনডেমনিটি দেয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা তৈরি করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে
মহিলা শ্রমিক লীগ সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার প্রমুখ।
সভার আগে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে প্রয়াত বরেণ্য সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খানের জানাজায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button