আন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

ক্ষমতায় ফিরলে ‘অবৈধ বসতি’ বাড়াবেন নেতানিয়াহু

নির্বাচনে জয়লাভ করলে অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে বসতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গতকাল শনিবার ইসরায়েলের এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পশ্চিম তীরে বসতি বাড়ানোর পরিকল্পনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন নেতানিয়াহু।
আজ রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
আগামী মঙ্গলবার ইসরায়েলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পশ্চিম তীরে বসতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসতে চাইছেন নেতানিয়াহু।
ওই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বসতি বাড়ানোর পরবর্তী পর্যায়ে যাবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা পরবর্তী পর্যায়ে যাব। আমি ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রসারিত করতে যাচ্ছি।’
এর জবাবে ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাসের এক মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, ‘যেকোনো পদক্ষেপই হোক আর ঘোষণা দেওয়াই হোক, তা পুরো বিষয়টি পরিবর্তন করতে পারবে না। ইসরায়েলের এই বসতি অবৈধ এবং দ্রুতই তা অপসারণ করা হবে।’
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের যে কয়টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় ফিলিস্তিন অধ্যুষিত গাজা, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের দখলে নেয় ইসরায়েল।
পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধভাবে নির্মিত ১০০টির বেশি বসতিতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ইসরায়েলি বসবাস করে। এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনতার প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে আসছে ইসরায়েল।
এদিকে ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক আইন। যদিও ইসরায়েল এর বিরোধিতা করে আসছে।
এর আগে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ার কাছ ইসরায়েলের দখল করা গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১৯৬৭ সালে সিরিয়া থেকে গোলান মালভূমিও দখল করে নেয় ইসরায়েল।
এদিকে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার বিতর্কিত এই বিষয়টির ব্যাপারে ফিলিস্তিন বলছে, ইসরায়েলের এই অবৈধ বসতির ফলে ভবিষ্যতে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
এদিকে ইসরায়েল বলছে, শান্তি আলোচনা এড়ানোর জন্য ফিলিস্তিনিরা বসতি স্থাপনের বিষয়টি ব্যবহার করে আসছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button