পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় বিজেপি নেতাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করায় দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় সাদা পোষাকে থাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশের এএসআই শুভাশিস রায়চৌধুরী এবং কনস্টেবল আমিনুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত দুই পুলিশ কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি’র সাবেক রাজ্য প্রেসিডেন্ট রাহুল সিনহার অভিযোগ,সোমবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বিজেপির রাজ্য দফতরে এসে তাকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন।
বিজেপি’র সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা আজ বলেন, ওই দুই ব্যক্তি তার কাছে এসে বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারের জন্য সাহায্য চেয়ে টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছিল। শুভাশিস রায় চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি আমিনুর রহমানকে দেখিয়ে বলেন, এই বেকারদের জন্য কিছু সাহায্য করুন। তিনি জানান, এখান থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারে সাহায্য করার বিনিময়ে তাকে প্রচুর টাকা দেয়ার অফার দেয়া হয়। এতে তার মাথা গরম হয়ে ওঠে এবং একজনকে থাপ্পড়ও দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।
রাহুল সিনহার অভিযোগ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে নারদ স্টিং ঘুষ কেলেঙ্কারি নিয়ে সরব হওয়ার জন্য তাদেরকেও ঘুষের ফাঁদে ফেলে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে।
তৃণমূলের স্টিং অপারেশন ব্যর্থ হয়েছে’ মন্তব্য করে তিনি গোটা ঘটনার নেপথ্যে যে মুখ্যমন্ত্রী নেই, তার প্রমাণ দাবি করেছেন। তার দাবি, বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে তাই এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত করতে হবে। বিজেপি’র পক্ষ থেকে জোড়াসাঁকো থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জোরালো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যা কিছু ভালো, সব ওদের, আর যা কিছু খারাপ সব আমাদের।
কয়েকদিন আগেই নারদ নিউজ ওয়েবসাইটের স্টিং অপারেশনের ভিডিও চিত্রে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কয়েক লাখ টাকা করে ঘুষ নিতে দেখা যাওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করা না হলেও এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে এবং বিধানসভা নির্বাচনে এটিকে ইস্যু করে বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করেছে। রেডিও তেহরান