কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মো. তারিক রহমানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিবারের ধারণা, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত থাকার জন্যই তাকে তুলে নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
তারিক রহমান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী ও কোটা আন্দোলন সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।
তারিকের পরিবারের সদস্যরা জানায়, তারিকের বন্ধুরা জানিয়েছে শনিবার (১৪ জুলাই) রাত আটটার দিকে তারিক ফকিরাপুলের একটি দোকানে কোটা সংস্কারের ব্যানার ও কিছু কাগজ প্রিন্ট করতে গিয়েছিল। যে দোকানে গিয়েছিল তারা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকে তারিককে পাওয়া যাচ্ছে না। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ।
ছেলের খোঁজ না পেয়ে রোববার (১৫ জুলাই) রাতে তারিকের মা মোছাম্মৎ শাহানা বেগম মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান। কিন্তু তারিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাস্থল ওই থানাধীন না হওয়ায় পরে তাঁরা রাত সোয়া বারোটার দিকে শাহবাগ থানায় যান। থানা থেকে তাঁদের একদিন অপেক্ষা করতে বলে তারিকের নাম, ঠিকানা লিখে রাখে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, এ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তবে তাঁদের থানায় জিডি বা মামলা করা হলে তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করবেন।
তারিকের বোন তানজিলা ইয়াসমিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই তারিককে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। গত শনিবার বিকেলে তিনটার দিকে তাঁর সঙ্গে তারিকের সর্বশেষ কথা হয়। সন্ধ্যার পর বন্ধুদের মারফত তিনি জানতে পারেন তারিক নিখোঁজ। তারিকের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
ছেলেকে ফিরে পেতে সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন তারিকের বাবা ও মা।
