কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার কেরানীগঞ্জে পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনুপ বাউলের (৩৪) লাশ ৫ মাস পর বালুর নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পিবিআই।
গতকাল সকালে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে তুলশিখালী ব্রিজের পাশে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার গোয়ালখালী গ্রাম এলাকায় একটি বালুর মাঠের ২০ ফুট গভীর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত নয়নসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ও মামলার দতন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরানের নেতৃত্বে এই লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ব্যবসায়ীর বাবার নাম মৃত, কানাই বাউল। বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার তেঘুরিয়া ইউনিয়নের পাইনা ভৈরব নগর গ্রামে।
নিখোঁজ অনুপ বাউলের ছোট ভাই বিপ্লব বাউল জানান, তার বড় ভাই অনুপ বাউল গত ৩রা জানুয়ারী স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদী খান থানার ভাড়ালিয়া গ্রামে শশুর শক্তি পদ মণ্ডলের বাড়িতে বেড়াতে যায়। তার বড় ভাই অনুপ বাউলের ব্যবসায়ীক দুই লাখ টাকা দিবে বলে যাওয়ার জন্য নয়নের মোবাইল থেকে তার বড় ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে। তার ভাই এই ফোন পেয়েই ৪ঠা জানুয়ারি সকাল ৯টায় দুই লাখ টাকা আনার জন্য জৈনপুরে নয়নের উদ্দেশ্যে শশুরবাড়ি থেকে বের হয়।
একই তারিখে বিকাল ৩টায় নয়ন তার মোবাইল থেকে তাকে (বিপ্লব বাউলকে) জানায় যে, তার বড় ভাই অনুপ বাউলের মোবাইল ফোনে ফোন করলে সে রিসিভ করছে না। ঐদিন বিকাল ৫টার পর থেকে তার বড় ভাই অনুপ বাউলের মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনায় তিনি প্রথমে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি গ্রহণ করেননি। পরে তিনি সিরাজদীখান থানায় একটি জিডি করেন।
এই ঘটনায় তিনি রাজধানীর ধলপুর ব্যাব-১০ এর কার্যালয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেন। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলার বাদী বিপ্লব বাউল আদালতের মাধ্যমে মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেন। পিবিআই দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত বুধবার রাতে মামলার প্রধান অভিযুক্ত অনুপ বাউলের ব্যবসায়ীক পার্টনার নয়নসহ ৪ জনকে আটক করে। আটককৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পিবিআইয়ের কাছে ঘটনাটি স্বীকার করে। পিবিআই গতকাল সকালে আটককৃতদের সঙ্গে নিয়ে তাদের দেখানো ধলেশ্বরী নদীর তীরে তুলসীখালী ব্রিজের পাশে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার গোয়ালখালী এলাকায় একটি বালুর মাঠের ২০ ফুট গভীর থেকে অনুপ বাউলের লাশ উদ্ধার করে।