কেন আমেরিকাকে নেতৃত্ব দিতে হবে
জোসেফ আর বাইডেন জুনিয়র
প্রায় প্রত্যেকটি বিবেচনায় আমেরিকার বৈশ্বিক প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা মুছে গেছে। তার শুরু যেদিন থেকে আমি এবং প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৭ সালের ২০শে জানুয়ারি অফিস ত্যাগ করেছিলাম। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র এবং অংশীদারদের অবজ্ঞা করেছেন। তাদের খাটো করেছেন। এমনকি কতিপয় ক্ষেত্রে তাদের পরিত্যাগ করেছেন। তিনি আমাদের পেশাদার গোয়েন্দা, কূটনীতিক এবং সেনাদের ওপর নির্ভরশীল হয়েছেন। তিনি আমাদের শত্রুদের চাঙ্গা করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যারা চ্যালেঞ্জ, তাদের কাছে আমাদের অবস্থানকে দুর্বল করেছেন।
সেটা আমরা দেখেছি উত্তর কোরিয়া থেকে ইরান। সিরিয়া থেকে আফগানিস্তান হয়ে ভেনিজুয়েলা। সর্বত্রই এটা দেখা গেছে। ট্রাম্প এসব ক্ষেত্রে আমেরিকার জন্য কোনো নতুন সুযোগ-সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারেননি।
যারা আমেরিকার বন্ধু এবং যারা আমেরিকার শত্রু তাদের সকলের বিরুদ্ধে তিনি বাণিজ্য যুদ্ধ করেছেন। এই যুদ্ধ সুচিন্তিত ছিল না। ছিল না তাতে কোনো দূরদর্শিতার ছাপ। এর মধ্য দিয়ে তিনি মার্কিন মধ্যবিত্তকে আঘাত করেছেন। বিশ্বের সামনে নতুন হুমকি এসেছে। বিশেষ করে এই শতাব্দীতে এসেছে কিছু অনন্য চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তার বিপরীতে মার্কিন নেতৃত্ব গঠনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। সকলকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বময় আমেরিকার নেতৃত্ব প্রত্যাশিত ছিল, ট্রাম্পের হাতে তার অপহরণ ঘটেছে। এর মধ্যে সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলো- তিনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়েছেন। অথচ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধই আমাদের জাতি এবং জনগণের প্রাণশক্তি। এটাই আমাদের শক্তি ও ঐক্যের প্রতিভূ।
ইতিমধ্যে বিশ্বের সামনে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন, ব্যাপকভিত্তিক অভিবাসন এবং সংক্রামক ব্যাধির মতো সংকট। এর সবটাই আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ইতিমধ্যে এই সমস্যাগুলো অনেক বেশি জটিল রূপ নিয়েছে। এবং সব থেকে যেটা জরুরি কথা, সেটা হলো- এসব সমস্যা যখন আমরা মোকাবিলা করবো, তখন কর্তৃত্বপরায়ণ, (উগ্র) জাতীয়তাবাদী এবং অনুদারনৈতিকতা সম্মিলিতভাবে ওইসব সংকট মোকাবিলা করতে আমাদের সামর্থ্য কমিয়ে দিয়েছে।
যেখানে ছিল গণতন্ত্র, তা হাইপারপার্টিজান বা চরম দলীয়করণ দ্বারা অপদস্থ হয়েছে। সেখানে নেমে এসেছে দুর্নীতি ও বিপর্যয়। বয়ে এনেছে চরম বৈষম্য। আর গণতন্ত্রহীনতা জনগণের জন্য সেবা প্রদানকে কণ্টকিত করেছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর আস্থা আজ নিম্নমুখী। এবং যে আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তিলে তিলে সতর্কতার সঙ্গে নির্মাণ করেছিল, তার বিকৃতি ঘটানো হয়েছে।
ট্রাম্প এবং বিশ্বব্যাপী ডেমাগগ বা বাগাড়ম্বরবিলাসী রাজনৈতিক নেতারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিনাশী শক্তিমত্তার দিকে ঝুঁকেছে এবং তার একটাই উদ্দেশ্য: নিজস্ব ব্যক্তিগত এবং দলীয় রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নেয়া।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। সেই ভাষণে তাকে প্রয়োজনীয় অনেক কথাই উল্লেখ করতে হবে। তখন তাকে তার যথাযথ কাজগুলো বেছে নেয়া হবে একটা বিরাট কর্তব্য। তাকে অবশ্যই আমাদের সুনাম পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমাদের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশকে, জনগণের শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের মিত্রদের চাঙ্গা করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হবে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। সময় নষ্ট করার কোনো সময় তার জন্য থাকবে না।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার কাজ হবে, অনতিবিলম্বে মার্কিন গণতন্ত্র এবং তার মিত্র জোটসমূহকে শক্তিশালী করার দিকে পদক্ষেপ নেয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে সুরক্ষা দেয়া। এবং আরো একবার বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত করা। এটা কোনো ভয়ের মুহূর্তে নয়। এটা হলো এমন একটা সময়, যখন শক্তিকে সংহত করতে হবে। সংহত করতে হবে গর্বকে। আর সেটা সেই শক্তি ও গর্ব, যা কিনা আমাদেরকে দুটো বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ী করেছিল এবং লৌহ পর্দার পতন ঘটিয়েছিল।
ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র এবং উদারনৈতিকতাবাদের যে বিজয় ঘটেছিল, সেটাই বিশ্বকে মুক্তি দিয়েছিল। কিন্তু এবারের প্রতিযোগিতা হবে শুধু অতীতকে সংজ্ঞায়িত করা নয়। এটা একইসঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎকে সংজ্ঞায়িত করবে।
দেশের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের নবায়ন
প্রথমত এবং সব থেকে বেশি অগ্রাধিকারের জায়গা হবে, নিজেদের গণতন্ত্রের মেরামত এবং তাতে শক্তির জোগান দেয়া। এমনকি সারা বিশ্বে আমাদের যে গণতন্ত্রের কোয়ালিশন রয়েছে তাদেরকে আরো শক্তিশালী করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে বিশ্বের অগ্রগতির জন্য। যেখানে তাকে একটি সুশক্তি হিসেবে দেখা হবে এবং সেজন্য দেশের অভ্যন্তরে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেয়ার পথ প্রশস্ত করতে হবে। আর এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আমি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবো। যাতে করে একটি শিশুর জীবনে সুবিধার বিষয়টি কেবল তার জিপ কোড কিংবা বর্ণ, গোত্র দ্বারা নির্দিষ্ট না হয়। বৈষম্যমূলক অসাম্য নির্মূল করার জন্য আমি আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার আনবো। কারা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবো। ভোটের অধিকার আইনের পুনরুজ্জীবন করবো। যার লক্ষ্য হবে, প্রত্যেকের কণ্ঠে যেন শোনা হয় এবং আমাদের সরকার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা ফিরিয়ে আনবো।
কিন্তু গণতন্ত্র মানে আমেরিকান সমাজের ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি নয়। এটা একইসঙ্গে আমাদের ক্ষমতার ঝর্ণাধারা। এটা আমাদের নেতৃত্বের শক্তি এবং সামর্থ্য, যা বিশ্বে আমাদেরকে নিরাপদে রাখে। এটা আমাদের সেই অন্তর্নিহিত চালিকাশক্তি, যা কিনা আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নেয়। এটা হলো আমাদের সেই হৃদয়ের কথা, যা আমাদেরকে জানান দেয় আমরা কে এবং আমরা কীভাবে বিশ্বকে দেখি এবং বিশ্ব কীভাবে আমাদের দেখে? এই উপলব্ধি আমাদেরকে আত্মসংশোধনের সুযোগ এনে দেয় এবং আমাদের সুমহান আদর্শ অর্জনের পথে নিজেদের গতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
একটি জাতি হিসেবে বিশ্বকে আমাদের এটা প্রমাণ করে দিতে হবে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে পুনরায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুত। এবং সেটা কেবল আমাদের প্রদর্শিত ক্ষমতার উদাহরণের মধ্য দিয়ে নয়। সেটা দেখাতে হবে আমাদের দ্বারা নতুন করে তৈরি করা ক্ষমতা প্রদর্শনের উদাহরণ দিয়ে। আর সে কারণেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি চূড়ান্ত নীতিনির্ধারণী এমন পদক্ষেপ নেব, যা আমাদের মৌলিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবন ঘটাবে। আমি অনতিবিলম্বে ট্রাম্প প্রশাসনের নিষ্ঠুর এবং নির্বোধ নীতিসমূহকে উল্টে দেবো। যা কিনা আমাদের সীমান্তে শিশুদেরকে তাদের পিতামাতা থেকে পৃথক করেছে। আমি অবসান ঘটাবো ট্রাম্পের ক্ষতিকর রাজনৈতিক আশ্রয়দানের নীতিসমূহ। বাতিল করে দেব ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। এবং ভঙ্গুর জনগোষ্ঠীর জন্য বিদ্যমান টেম্পোরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাসের রিভিউ করবো। এবং আমরা বছরে সোয়া লাখ উদ্বাস্তু গ্রহণের নীতি গ্রহণ করবো। এবং কালক্রমে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করবো। এটা হবে আমাদের দায়িত্বশীলতা এবং আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
আমি মার্কিন সামরিক অপারেশনসমূহে সবধরনের নির্যাতন নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সংহত করবো। সেখানে অধিকার ও স্বচ্ছতা পুনরুজ্জীবিত করবো। এমনকি বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে ওবামা প্রশাসনের নীতিসমূহও পর্যালোচনা করবো। বিশ্বব্যাপী নারী এবং মেয়েশিশুদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিদেশি সরকারসমূহের পৃষ্ঠপোষকতায় যে কর্মসূচি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে, তা পুনরুজ্জীবিত করবো। এবং আমি নিশ্চিত করবো যে, হোয়াইট হাউস হবে আদর্শ এবং আমাদের মৌলিক কাঠামোর রক্ষক। হোয়াইট হাউস অবশ্যই আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নির্ভর প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং গণমাধ্যমের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, ভোটাধিকারের পবিত্রতা রক্ষা এবং বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা সমুন্নত করার বিরুদ্ধে প্রধান ঘাতক হিসেবে ভূমিকা রাখবে না। এসব পরিবর্তন আনা হবে তা কেবল সূচনামাত্র। দেশের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকতে আমাদের যে চিরায়ত অঙ্গীকার, তার নিরিখে বলবো এই পরিবর্তনগুলো যে আনা হবে, সেটা হবে যেন মাত্র একদিনের ডাউন পেমেন্ট।
আমি মার্কিন আইন এমনভাবে প্রয়োগ করবো, যা নির্দিষ্টভাবে কোনো সমপ্রদায়কে টার্গেট করবে না। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার লঙ্ঘন করে নয়। কিংবা পরিবারগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে নয়। যেমনটা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আমি আমাদের সীমান্তসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। কিন্তু একইসঙ্গে নিশ্চিত করবো অভিবাসীদের মর্যাদা এবং রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার ক্ষেত্রে তাদের আইনি অধিকার সমুন্নত রাখবো। আমি ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আমাদের নীতিসমূহ কী হবে তার বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছি। এবং আমি তাতে বলেছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী ভাবে, আমাদের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে অভিবাসীরা কেন ছুটে আসে, তার মূল কারণ উদ্ঘাটন করবো। ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি একটি দ্বিদলীয় প্রস্তাব নিশ্চিত করেছিলাম। ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এল সালভাদর, গুয়েতেমালা এবং হন্ডুরাসের নেতৃত্বকে উৎসাহ দেয়া ছিল তার লক্ষ্য। তাদের দেশের দুর্নীতি, সহিংসতা এবং চরম দারিদ্র্য কি করে ওইসব দেশগুলোর মানুষকে তাড়া করে, সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে তাদেরকেই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সহায়তা দিতে। এর ফলে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত হয়েছিল। এল সালভাদরের মতো দেশগুলো থেকে অভিবাসনের প্রবাহ কমে গিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি সেই উদ্যোগকে চার বছর মেয়াদি একটি ব্যাপকভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে রূপ দেবো। চারশ’ কোটি ডলার ব্যয়সাপেক্ষ একটি আঞ্চলিক কৌশলের আওতায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যাতে তাদের নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করতে পারে এবং তাদের শাসন ব্যবস্থায় তাৎপর্যপূর্ণ, সুনির্দিষ্ট এবং সত্যিকারের পরিবর্তন আনয়নকারী সংস্কার বাস্তবায়ন করতে পারে।
আমি আর যেসব বিষয়ে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেবো তার মধ্যে রয়েছে স্বার্থের সংঘাত, কালো টাকা এবং উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি রোধ করা। এসবই সংকীর্ণ, ব্যক্তিগত কিংবা বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দেয়। এবং সেজন্য একটি সংবিধান সংশোধনীর জন্য আমাদের লড়াই চালাতে হবে। এই সংশোধনীর লক্ষ্য হবে ফেডারেল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতের তহবিলের যোগানকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করে দেয়া। উপরন্তু আমি একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিতে চাই। এর লক্ষ্য হবে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া, সেটা হোক ফেডারেল, অঙ্গরাজ্য কিংবা স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন, এর কোনোটিতেই যাতে কোনোভাবে বিদেশি নাগরিক কিংবা সরকার কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। আইন করে এটা নিষিদ্ধ করবো এবং এটি নিশ্চিত করতে একটি নতুন স্বতন্ত্র এজেন্সি গঠনের বিষয়ে উদ্যোগ নেব। এ জন্য কমিশন অন ফেডারেল এথিকস করবো। এর লক্ষ্য হবে সমন্বিতভাবে ওই আইন এবং অন্যান্য দুর্নীতিবিরোধী আইনগুলোর কার্যকর নিশ্চিত করা। আমাদের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের অর্থায়ন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার ঘাটতি প্রকট। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ব্যাপকভিত্তিক বিদেশি অর্থের লন্ডারিং। সব মিলিয়ে একটা উল্লেখযোগ্য ভঙ্গুরতা সৃষ্টি করেছে আমেরিকার জন্য। আমরা সেইসব দুর্নীতিগ্রস্ত ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেব, যা আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে দেয়।
(চলবে)
ফরেন পলিসি (মার্চ-এপ্রিল, ২০২০ সংখ্যা) থেকে নেয়া।