গত সাড়ে চার মাস ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অবরুদ্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতি ১১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংগঠন কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (কেসিসি) আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়ে বলেছে, এই ক্ষতির জন্য তারা সরকারের বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা করেছে। খবর রয়টার্স’র।
কেসিসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির খান বলেছেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি রুপি (অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা) ছিল। নভেম্বরে যা আরও বেড়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।’
কাশ্মীরে দীর্ঘদিন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তাই ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করতে একটি বাহ্যিক সংস্থা নিয়োগ দিতে আদালতের কাছে কেসিসি আবেদন করবে বলে জানান কেসিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
রয়টার্স জানিয়েছে, কেসিসি’র এমন দাবির পর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত। এসময় পুরো কাশ্মীর জুড়ে সেনা মোতায়েন করে সরকার। রাস্তা ঘাট বন্ধ, মোবাইল, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, বন্ধ থাকে দোকান-পাট। ফলে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরীরা নিজ গৃহে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। নরেন্দ্র মোদির সরকার ঘোষণা দেয় কাশ্মীরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নজর দেওয়া হবে। বাইরের বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হবে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
তবে মোদি সরকারের এমন আশ্বাসকে ‘চাতুরি’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেসিসি। কাশ্মীরের আর্থিক অবস্থা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এই উপত্যকার প্রধান আয়ের উৎস পর্যটন খাতে ব্যাপক ধ্বস নেমেছে। যা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। উল্টো অনেক হোটেল ব্যবসায়ী ব্যবসা গোটানোর কথা ভাবছেন।