কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজ ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে পালানো শুকুর আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজ হোসেনকে ধামরাই থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৪)। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় ঢাকার ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কাছৈর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। সে ওই গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে। এর আগে গত ৬ আগস্ট দেশব্যাপী সহিংসতা ও সরকার পতনের উদ্ভূত সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা কারাবন্দিরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা শুরু করলে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজ হোসেন পালিয়ে যায়।
শুক্রবার ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ও র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কাছৈর গ্রামের মৃত রোস্তম আলীর ছেলে শুকুর আলীকে (৫৫) একই গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জাকির ও তার বন্ধু একই এলাকার ফিরোজ, চিটার শাহীন, শাহীনুর ইসলাম, মনোয়ার হোসেন মনু বাড়ির পাশেই শুকুর আলীকে কুপিয়ে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখে। এ হত্যা মামলায় গত ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের কাছৈর গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন (৩৪), মীর হোসেনের ছেলে ফিরোজ হোসেন (২৬) ও বাইশাকান্দা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে শাহীন ওরফে চিটার শাহীনকে (২৭) মৃত্যুদন্ড আর কাছৈর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে শাহীনুর ইসলাম শাহীন (২৬) ও একই গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার হোসেন মনুকে (২৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের জজ ইসমত জাহান। দন্ডপ্রাপ্তরা সবাই কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। তাদের মধ্যে শুধু ফিরোজ হোসেন গত ৬ আগস্ট কারাগার থেকে পালিয়ে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ফিরোজ হোসেনকে ধামরাইয়ের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।