ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য বের করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কীভাবে কৌশল করে রাফিকে ছাদে নিয়ে গিয়ে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সেই তথ্য বের করেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
আজ ১৩ এপ্রিল, শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। রাজধানীর ধানমন্ডির ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত পিবিআই কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়াজন করা হয়।
তিনি জানান, রাফিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করার পর তার সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে যান নূর উদ্দিন ও শাহাদাত। সিরাজ তাদের নির্দেশ দেন রাফিকে শায়েস্তা করার। সে অনুযায়ী পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘাতকরা।
৬ এপ্রিল সকালে রাফি পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় গেলে পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে ভবনের ছাদে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার আরও জানান, আগুনে পোড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুই ছাত্রীর মাধ্যমে তিনটি বোরকা আনা হয়। কেরোসিন তেল আনা হয়। ঘটনার দিন রাফির বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে বলে শম্পা ওরফে চম্পা নামে এক ছাত্রীর দেয়া সংবাদে ভবনের চারতলায় যান রাফি। সেখানে আগে থেকে লুকিয়ে ছিলেন শাহাদাতসহ চারজন। তারা সেখানে প্রিন্সিপাল সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে ওড়না দিয়ে বেঁধে আগুন দিয়ে তারা নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যায়।
পিবিআই প্রধার জানান, নুসরাত হত্যায় মোট ১৩ জনের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে।