sliderআন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

কানের পাশ দিয়ে গুলি গেল ট্রাম্পকন্যার!

আরেকটু হলে বাজে কিছু হলেও হতে পারতো। বলতে পারেন কানের পাশ দিয়েই গুলি গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের! হোয়াইট হাউসের পর এবার করোনা আতঙ্ক ইভাঙ্কার ঘরে। দু’দিন আগেই হোয়াইট হাউসে নেভির এক সদস্যের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। এরপর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সহযোগীও আক্রান্ত হন মারণ ভাইরাসে।
এরই মধ্যে আতঙ্ক ছড়াল ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ঘরে। আক্রান্ত ইভাঙ্কার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। তবে সূত্রের খবর, ইভাঙ্কার ওই অ্যাসিস্ট্যান্টের সঙ্গে ইভাঙ্কা মুখোমুখি হননি বহুদিন। তাতেই যেন রক্ষা হলো। ইতিমধ্যে ইভাঙ্কার টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে।
এ দিকে শুক্রবারই হোয়াইট হাউসে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সহযোগী আক্রান্ত হন মারণ ভাইরাসে।
এর ঠিক আগেই হোয়াইট হাউসে কর্মরত মার্কিন নেভির এক সদস্যের শরীরে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এরপরই পেন্সের সহযোগী তথা প্রেস সেক্রেটারি কেটো মিলার আক্রান্ত হন করোনায়।
এই মহিলার স্বামী আবার ট্রাম্পের সহযোগী ফলে হোয়াইটসে রীতিমত আতঙ্ক। যদিও ভয়ের কিছু নেই বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে নৌবাহিনীর ওই সদস্যের আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন নৌবাহিনীর এক সদস্য। তিনি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
মার্কিন নেভির যে ইউনিট হোয়াইট হাউসের জন্য কাজ করে, তারই সদস্য এই আক্রান্ত ব্যক্তি। বুধবার এই খবর শুনে বিমর্ষ হয়ে পড়েন ট্রাম্প। প্রথমবার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ফের হোয়াইট হাউসের ফিজিশিয়ান দিয়ে টেস্ট করানো হয়। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসলে হোয়াইট হাউসের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হোয়াইট হাউস ক্যাম্পাসে কর্মরত ইউএস মিলিটারির এক সদস্য করোনা আক্রান্ত বলে হোয়াইট হাউস মেডিক্যাল ইউনিটের তরফে জানানো হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সুস্থই আছেন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সুস্থ আছেন তাঁরা।
তবে হোয়াইট হাউসের অন্দরমহলে খুব কড়াকড়িভাবে মানা হয় না সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। খুব কম সদস্যই মাস্ক পরেন। ট্রাম্প নিজে জানিয়েছেন যে তাঁর ও তাঁর সহকর্মীদের নিয়মিত করোনা টেস্ট হয়। কিছুদিন আগেই এয়ার ফোর্স ওয়ানে সফর করার সময় একথা জানান তিনি। বলেন, ‘আমাদের র‍্যাপিড টেস্টে পাঁচ মিনিটেই রেজাল্ট চলে আসে।’ সূত্র-টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button