ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ গত কিছুদিন আগে ফেসবুক সহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার এলাকার ‘ইটভাটার মাটির স্তুপের নিচে সোনা পাওয়া যাচ্ছে’ এমন একটি খবর বেশ স্থান করে নেয়।
সোনা পাবার আশায় স্থানীয় সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করে সেখানে সোনা খোজার উদ্দেশ্যে। কারো হাতে কোদাল, কারো হাতে বসিলা, খুন্তি এই নিয়েই মাটি খুঁড়ে দিনরাত। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গত ২৬ শে মে আর বিবি ইটভাটার সে স্থানটিতে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন। তবে লোকমুখে চলতে থাকে সোনা পাবার নানা গল্প।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার হাট এলাকায় ভূতত্ত অধিদপ্তর থেকে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধানী দল আসে মাটি পর্যবেক্ষণের জন্য। গত ৩ জুন থেকে ৫ জুন পর্যন্ত সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম ও সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আল রাজি এবং রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান,বাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিতেন্দ্রনাথ বর্মন ও অন্যান্যদের সাথে নিয়ে আরবিবি ইটভাটায় রক্ষিত মাটির স্তুপ, মন্দিরের পাশের জমি ও পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার নানাহার পুকুরের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকরা সহ এলাকাবাসী জানায়, ট্রলির মাধ্যমে ভাটার মাটি সরিয়ে নেওয়া হয় এবং ১৪৪ ধারাও জারি করা হয় এখানে। আমরা শুধু শুনেছি সোনা পাবার কথা। নিজেরা সোনা পাইনি। তবে যেহেতু অনুসন্ধনিী দল এসেছে, তারা প্রকৃত ঘটনাটি জানতে এবং জানাতে পারবে।
এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক (ভূতত্ত্ব) আনোয়ার সাদাৎ মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আমরা ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছি এবং তিন স্থানের মাটির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আসলে এটি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধানের বিষয়। সে হিসেবে এ মাটিতে সোনা থাকার সম্ভাবনা নেই তবে প্রতœতাত্ত্বিকভাবে গুপ্তধন আকারে দেশের যে কোনো স্থানে এসব থাকতে পারে। বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক ও প্রতœতাত্ত্বিক উভয় সম্পদ অনুসন্ধানে তৎপর আছে। আমরা যে মাটির নমুনা নিয়েছি ল্যাব টেস্ট করলে ওখানে স্বর্ণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।