sliderরাজনীতিশিরোনাম

কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ভারতীয় আধিপত্য মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে

আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোগে ১৯ নভেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আধিপত্য সংগ্রামের প্রথম রাজবন্দী অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম এ জলিলের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাসুদ হোসেন বলেন, মেজর মোহাম্মদ আব্দুল জলিল ছিলেন ভারতীয় আধিপত্য মুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাবন্দি হন। তাঁর স্বপ্নকে লালন করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্র—জনতা এখনো পর্যন্ত কথা বলে যাচ্ছেন। মাসিক মদিনার সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দিন খানের উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। আবরার ফাহাদ কে হত্যা করা হয়েছে, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমিকে গুম করে আয়না ঘরে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে। এদেশে যতদিন পর্যন্ত ভারতীয় আধিপত্য টিকে থাকবে ততদিন পর্যন্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে না। এজন্য প্রয়োজন ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য। সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি উদাত্ত আহবান “আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে ভারতীয় আধিপত্য মুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করি”। আর এই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ভারতীয় আধিপত্য মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। ৫ই আগস্টের ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনা ছিল ভারতীয় আধিপত্যের দালাল শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করে ভারতীয় আধিপত্য মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠন করা। ৫ই আগস্ট এর এই চেতনাকে লালন করে আগামী প্রজন্মকে ভারতীয় আধিপত্যমুক্ত বাসযোগ্য রাষ্ট্র উপহার দেওয়া দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দুঃখের বিষয় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও ভারতীয় আধিপত্যের দোসররা ঢুকে পড়েছে। এদেরকে চিহ্নিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে বের করে দিতে হবে। তা না হলে ৫ই আগস্টের ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কোন অবস্থাতেই আমরা ছাত্র জনতার এই গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।

জন জোটের আহ্বায়ক মুজাম্মেল মিয়াজীর সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ খাঁন, ১২ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমীন, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ শামীম, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ইঞ্জি. হাফিজুর রহমান, সুশীল ফোরামের সভাপতি মো. জাহিদ, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হিরা, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য এইচ. এম. আব্বাস আলী প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button