আন্তর্জাতিক সংবাদশিরোনাম

করোনা ভাইরাস ছড়ানোয় ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

বিশ্বে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দিন দিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এর মধ্যে চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনার আতঙ্ক প্রকট আকার ধারণ করছে।
দেশটিতে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রধানকে দায়ী করা হচ্ছে। শিনচিওঞ্জি নামে ক্ষুদ্র ওই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতা হলেন লি ম্যান-হি।
করোনা ভাইরাস ছড়ানোর জন্য এক সংবাদ সম্মেলনে হাঁটু গেড়ে বিনয়ের সঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন শিনচিওঞ্জি গির্জার এই প্রধান। সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
৮৮ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, ‘এটা কোনো উদ্দেশ্যমূলক ছিল না। তারপরেও মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এটাকে বাধা দিতে, কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উহান শহর থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। তেমনি দক্ষিণ কোরিয়ার দুই শহর- দেগু এবং চোংডোকে ভাইরাস ছড়ানোর সূত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আর এতে সন্দেহের তীর গিয়ে পড়েছে ঐ অঞ্চলের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দিকে। বলা হচ্ছে, দেগু এবং চোংডোতে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর কয়েকশ সদস্যের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়। তারপরেও তারা দেশজুড়ে ভ্রমণ করেছে।
এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তরা তাদের নাম গোপন করেছে। ফলে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, আক্রান্তদের অধিকাংশই শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের অনুসারী। চোংডো শহরের হাসপাতালে এদের রোগীই বেশি দেখা গেছে।
জানা গেছে, চোংডোতে শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের নেতার ভাইয়ের মৃত্যুর শেষকৃত্যে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন। তারপরই ওই সম্প্রদায়ের পাঁচশরও বেশি অনুসারী ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নানা উপসর্গের কথা জানায়।
এদিকে দায়িত্বে অবহেলা ও করোনার তথ্য গোপন করায় প্রসিকিউটরদের ওই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
তবে গির্জার মুখপাত্র কিম শিন-চ্যাং বিবিসিকে বলেছেন, তারা দেশের কর্তৃপক্ষকে গোষ্ঠীর সদস্য, শিক্ষার্থী এবং বাড়ির একটি তালিকা দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সদস্যদের সুরক্ষার কারণে আমরা এই তথ্য প্রকাশ করতে উদ্বিগ্ন ছিলাম।’
শিনচিওঞ্জি সম্প্রদায়ের নেতা লি ম্যান-হি দাবি করেন, তিনি যিশু খ্রিস্টের দ্বিতীয় অবতার। বাইবেলে উল্লিখিত ‘প্রতিশ্রুতিযুক্ত যাজক’ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। তিনি এক লাখ ৪৪ হাজার মানুষকে না কি তার সঙ্গে স্বর্গে নিয়ে যাবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button