করোনাভ্যাক টিকার উৎপাদন দ্বিগুন করবে চীনের সিনোভ্যাক
চীনে করোনা ভাইরাসের টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক তাদের তৈরি টিকা করোনাভ্যাক দ্বিগুন উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করেছে। এ জন্য তারা ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের তহবিল নিশ্চিত করেছে। এই টিকা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে এ মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। এ অবস্থায়ই তারা কয়েক লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে ইন্দোনেশিয়াকে। এ ছাড়া তুরস্কের সঙ্গেও রয়েছে তাদের চুক্তি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। সিনোভ্যাকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা বর্তমানে বছরে ৩০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনে সক্ষম।
তবে ২০২০ সালের শেষের দিকে দ্বিতীয় একটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কথা রয়েছে। এর ফলে বছরে উৎপাদন দ্বিগুন করা যাবে। অর্থাৎ বছরে ৬০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করতে পারবে তারা। সিনোভ্যাক যেহেতু তাদের টিকা সরবরাহ চুক্তি বিস্তৃত করছে, অধিক পরিমাণ দেশে করোনাভ্যাক টিকার পরীক্ষা করছে এবং তাতে মধ্যম পর্যায়ের পরীক্ষায় ভাল ফল এসেছে, তাই এতে আকৃষ্ট হয়ে বিনিয়োগ করেছে সিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যাল। এই বিনিয়োগের ফলে সিনোভ্যাকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেসে শতকরা ১৫.০৩ ভাগ শেয়ার পাবে সিনো বায়োফার্মাসিউটিক্যালস। তারা করোনাভ্যাক টিকা উৎপাদন ও উন্নয়নে সহায়তা করতে এই অর্থ বিনিয়োগ করছে। হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে ফাইলিংয়ে এ তথ্য দিয়েছে তারা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাজারের পরিস্থিতি এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা বিবেচনা করে উৎপাদন সক্ষমতা আরো বাড়ানো হতে পারে। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলিসহ বেশ কিছু দেশের সঙ্গে নিজেদের তৈরি করা টিকা করোনাভ্যাক সরবরাহের চুক্তি নিশ্চিত করেছে সিনোভ্যাক। অন্যদিকে ফিলিপাইনের সঙ্গে চলছে জোরালো আলোচনা। চীনে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহার কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১০ লাখ মানুষকে যে তিনটি টিকা পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হয়েছে তার মধ্যে করোনাভ্যাক অন্যতম। ব্রাজিলে এ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা পরিচালনা করছে বুটানটান ইনস্টিটিউট। গত সপ্তাহে তারা বলেছে, এই টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে ১৫ই ডিসেম্বরের মধ্যে তারা রিপোর্ট প্রকাশ করবে।
সুত্র : আল জাজিরা