sliderমতামতশিরোনাম

কমরেড অমল সেন, তেভাগার লড়াই ও কমিউনিস্ট আন্দোলন : পরিচ্ছেদ-১৪

বিমল বিশ্বাস

“শ্রেণী শত্রু খতমের” লাইন বিরোধিতায় কমরেড অমল সেন :

কমরেড অমল সেন ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৬৮ সালেই আবার গ্রেফতার হয়েছিলেন। ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের পর মুক্তি পেয়ে পুনরায় গ্রেফতার হলেন ১৯৭০ সালের অক্টোবর মাসে। এই সময়ের মধ্যে কমরেড অমল সেনের সেজো ভাই সরল সেন ও মামাতো ভাই সন্তোষ রায়ের সাথে সাক্ষাতের জন্য পশ্চিম বাংলার মধ্যম গ্রামে গিয়েছিলেন। কমরেড অমল সেনের আদর্শ ও রাজনীতির প্রতি আস্থাশীল ছিলেন সেজো ভাই সরল সেন। কমরেড অমল সেনের মামাতো ভাই কমরেড সন্তোষ রায় ছিলেন সকল সময়ের সহযোদ্ধা। যদিও কমরেড সন্তোষ রায় পশ্চিম বাংলা সিপিআইএম পার্টির শক্তিশালী অবস্থানকালে তৎকালীন পার্টি লাইনের বিরোধিতা করে পার্টি সদস্য আর থাকেননি। তাদের সাথে সাক্ষাতে জন্য বিনা পাসপোর্টে ভারতে গিয়েছিলেন। এই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালন করেছিল সাতক্ষীরা পার্টি। কিন্তু ফেরার পথে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয়ে যান। ইপিআর সাতক্ষীরা থানায় কমরেড অমল সেনকে হস্তান্তর করলো। থানা থেকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠিয়ে দিল কমরেড অমল সেনকে। ইতিমধ্যে সাতক্ষীরা পার্টির নেতৃত্ব গ্রেফতারের ঘটনাটি জানতে পারে। পার্টি নেতৃত্ব দ্রæত সিদ্ধান্ত নিয়ে কমরেড অমল সেনের জামিনের ব্যবস্থা করেছিল।

কমরেড অমল সেন তিন দিন কারাগারে থাকলেও কেউ তাঁকে চিনতে পারেনি। সহজেই কমরেড অমল সেনের জামিনের ব্যবস্থা করেছিল। পরবর্তীকালে মামলাটি বাতিলের জন্য পার্টির নেতৃত্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ওই সময়ে ঘটনাটি কমরেড অমল সেন আমাকে না বললে আমিও জানতাম না। উল্লিখিত সময়কালে কমরেড অমল সেনের সাথে একত্রে থেকেই পার্টির কাজ করতে হয়েছে। ১৯৬৬-৬৭ সালে নকশালবাড়ির কৃষক আন্দোলনের ঢেউ পূর্ব বাংলায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র-যুবশক্তিকে প্রভাবিত করে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) এর কেন্দ্রীয় কমিটির অভ্যন্তরে খাঁটি নকশালপন্থী হওয়ার জন্যে চলেছিল তীব্র প্রতিযোগিতা। নকশাল লাইন ঠিক কি বেঠিক তা নিয়ে ইপিসিপি এম-এল, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এম-এল ও পরবর্তীতে পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি নেতৃবৃন্দের গঠিত পার্টিতেও নকশাল আন্দোলন নিয়ে চলেছিল বিতর্ক। কমরেড অমল সেনের নিজ পার্টি ইপিসিপি এম-এল আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন গ্রহণের আগেই ইপিসিপি এম-এলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খুলনার কমরেড নজরুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্য কমরেড আজিজুর রহমান, বিএল কলেজের ছাত্র নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে আব্দুর রউফ, খোকন, আলাউদ্দীন মোল্লা, রণজিৎ চ্যাটার্জী এরা সকলেই শ্রেণীশত্রু খতমের রাজনৈতিক লাইনের স্বপক্ষে ব্যাপক প্রচার শুরু করেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন গৃহীত হওয়ার আগেই খুলনা থেকে খুলনা পার্টির ব্যবস্থাপনায় ‘গণযুদ্ধ’ নামে একটি পত্রিকা সাইক্লোস্টাইল করে সারা দেশে প্রচার হতে থাকে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি এম-এলের শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের স্বপক্ষের লেখাগুলো গণযুদ্ধ পত্রিকায় প্রকাশিত হতো। খুলনা জেলা কমিটির কমরেড শচীন বোস শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের তীব্র বিরোধী থাকার পরেও খুলনা পার্টির ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের কারণে পার্টি শৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে একাজ করা সম্ভব হয়েছিল।

যশোর জেলা কমিটির ওই সময়কার সদস্যদের মধ্যে কমরেড অমল সেন, কমরেড সুধাংশু দে, কমরেড হেমন্ত সরকার, কমরেড মহিউদ্দীন আলী আখতার, কমরেড শামসুর রহমান এরা সকলেই ছিলেন শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের বিরুদ্ধে। কমরেড অমল সেন ঐ সময়ে শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনকে বিরোধিতা করে জেলা কমিটিতে একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থিত করেছিলেন। ১৯৭০ সালের ৩১শে আগস্ট ফরিদপুরে ইপিসিপি এম-এলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম হয়। যশোর জেলার একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন কমরেড শামসুর রহমান। কমরেড শামসুর রহমানের দায়িত্ব ছিল কমরেড অমল সেনের লিখিত বক্তব্য প্লেনামে উপস্থিত করার। কেন্দ্রীয় প্লেনামের আগেই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের উদ্যোক্তা কমরেড নজরুল ইসলাম ভারতের মোশাহারিতে গিয়েছিলেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি এম-এল মোশাহারি অভ্যুত্থানের স্বপক্ষে ব্যাপক প্রচার ওই সময়ে সংগঠিত করেছিল। কমরেড নজরুল ইসলাম ফিরে এসে মোশাহারির গণ অভ্যুত্থান ও শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের বিরোধিতা করেন। শ্রেণীশত্রæ খতমের লাইনের প্রয়োগের বিভৎসতা ও শিক্ষা সম্পর্কে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তুলে ধরেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির অভ্যন্তরে কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার ও কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা প্রথমে শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের বিরোধী থাকলেও পরবর্তীতে তাঁরাও শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের পক্ষাবলম্বন করেন।

কমরেড নজরুল ইসলামের পার্টিকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলো। ফরিদপুর প্লেনামে শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন গৃহীত হয়ে গেল। কমরেড অমল সেনের লিখিত ঐ বক্তব্যের কিছু কথা আজও আমার কানে বাজে। “শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন শ্রেণীসংগ্রামকে বিপথগামী করার ভ্রান্ত কৌশল; শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন পার্টিকে টুকরো টুকরো করে ধ্বংস করার কৌশল; শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন জনগণ থেকে পার্টিকে বিচ্ছিন্ন করার লাইন”। কমরেড অমল সেন ঐ লেখায় বলেছিলেন পার্টিকে রক্ষা করতে হলে বিপর্যয়কারী ও ধ্বংসাত্মক লাইনে যাওয়া ঠিক হবে না। কমরেড অমল সেনের এই সঠিক বক্তব্য পার্টি গ্রহণ করেনা। পরিণামে পার্টি ও বিপ্লবের যে ক্ষতি হলো তা অনেকের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতালব্ধ শিক্ষা ও জ্ঞান হিসেবেই বিবেচিত হবে।
কমরেড অমল সেনের সাথে ১৯৭০ সালের জুলাই মাসেই তৎকালীন জেলা সম্পাদক কমরেড হেমন্ত সরকার সাক্ষাৎ করতে যান। এই সাক্ষাৎ হয়েছিল বড়েন্দারের প্রয়াত কমরেড বামাচরণ গোলদারের বাড়িতে। বর্ষাকালে বড়েন্দার গ্রামটি পানিতে ডুবে যেত। আমিও ওইদিন কমরেড বামাচরণ গোলদারের বাড়িতে কমরেড অমল সেনের সাথেই ছিলাম। শ্রদ্ধেয় দুই প্রবীণ নেতা আমাকে বললেন তুমি একটু বাইরে যাও আমরা কিছু আলোচনা সেরে নিই। অথৈ পানির মধ্যে কোথায় যাবো? ওই বাড়ির উঠানেই ঘোরাফেরা করতে থাকলাম। পার্টি জীবনে গোপনীয়তা সম্পর্কে যে শিক্ষা পেয়েছিলাম তাতে তাঁরা কি আলোচনা করছেন কান পেতে শুনতে হবে এমন কোনো আগ্রহ আমার ছিল না। তারপরও কমরেড অমল সেনকে কমরেড হেমন্ত সরকার যখন বলছেন, দাদা আসুন না শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনটা প্রয়োগ করেই দেখি। জবাবে কমরেড অমল সেন বলেছিলেন, শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের প্রতি তোমার মোহ থাকতে পারে আমার কোনো মোহ নেই। এই কথাগুলিও আমার কানে আসার ফলে কমরেড অমল সেন যে শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের দৃঢ় বিরোধিতা করেছিলেন তা ঐসময় থেকেই বুঝতাম। দিনরাত সবসময় কমরেড অমল সেনের সাথে একসাথে চললেও তিনি কখনোই শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন ভুল এটা আমাকে বোঝাবার কোনো চেষ্টাই নেননি। তিনি আমাকে চীন বিপ্লবের হুনান কৃষক আন্দোলনের রিপোর্টটি বারবার পড়তে বলতেন। সত্যি কথা বলতে কি হুনান কৃষক আন্দোলন থেকে শিখে শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন ভুল এটা বুঝার যোগ্যতা ও ক্ষমতা ঐ সময়ে আমার ছিল না।

১৯৭০ সালের ৪ ও ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে অভয়নগর থানার বাঘুটিয়া ও কোদলা গ্রামে দুইদিন ব্যাপী যশোর জেলা কমিটির সভার কথা মনে পড়ে। প্রথম দিনের বাঘুটিয়ায় সভা হয়েছিল ওই সময়কার পার্টি সদস্য কমরেড জবেদ আলীর বাড়িতে। দ্বিতীয় দিনের সভা হয়েছিল কোদলা গ্রামের কমরেড নিরাপদ বিশ্বাসের বাড়িতে। জেলা কমিটির ওই সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে যোগ দিয়েছিলেন কমরেড নজরুল ইসলাম। দুইদিন ব্যাপী আলোচনায় কমরেড নজরুল ইসলাম ছিলেন নির্বাক। ওইসময়ে তৎকালীন ইপিসিপি এম-এলের মার্কসবাদী পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছিল সংশোধনবাদের চশমা পরে যারা শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের বিরোধিতা করছেন তাদের কেউই যেনো জেলা কমিটি অথবা নেতৃত্বস্থানীয় কোনো কমিটিতে অবস্থান না করেন। ঠিক একই সুরে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তৎকালীন সম্পাদক কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার যশোর জেলা কমিটিকে চিঠি দেন। অবধারিত ভাবে কমরেড অমল সেন জেলা কমিটিতে যাতে না থাকেন সেটিই ছিল চিঠির মূল বিষয়বস্তু। আগেই উল্লেখ করেছি কমরেড সুধাংশু দে, কমরেড হেমন্ত সরকার, কমরেড মহিউদ্দীন আলী আখতার ও কমরেড শামসুর রহমান শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনকে আগে বিরোধিতা করলেও জুলাই মাসের সভায় তারা মত পরিবর্তন করেছিলেন।

১৯৭০ সালের জুলাই মাসে যশোর জেলা কমিটির সভায় শ্রেণীশত্রু খতমের লাইনের পক্ষে কমরেড খবির উদ্দীন ও আমাকে জেলা কমিটিতে কো-অপ্ট করেছিল। ঐ সভায় জেলা কমিটি থেকে কমরেড অমল সেনকে অপসারিত করা হলো। নড়াইলসহ তিনি যেসকল এলাকার দায়িত্বপালন করতেন সেসব এলাকার দায়িত্বের বোঝা আমার ঘাড়ে চাপানো হলো। শুধু তাই নয় কমরেড অমল সেনকে নড়াইলের কমরেড সন্তোষ মজুমদার, কমরেড বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের সঙ্গে নড়াইলের সেলে যুক্ত করা হলো। যদিও অক্টোবরের প্রথমদিকে কমরেড অমল সেন কমরেড বৈদ্যনাথ বিশ্বাসের গ্রেফতারের কারণে ঐ সেল কোনো আনুষ্ঠানিক সেল হিসাবে সংগঠিত হতে পারেনি। সত্যি কথা বলতে কি সকল প্রবীণ কমরেডদের সাথে জেলা কমিটির সভায় আমি প্রথম যোগ দিয়েছিলাম। বহু কষ্টে সেদিনকার সভার পরিস্থিতিতে চোখের জল সংবরণ করেছিলাম। কমরেড অমল সেন ওইদিন কমরেড শামসুর রহমানকে বলেছিলেন আপনি পুলুম ফিরে যাওয়ার সময় নড়াইলের বিষু ভট্টাচার্যের বাড়িতে থাকবেন শুনেছি। আমি আপনার সাথে সাক্ষাৎ করতে যাবো। সেদিন কমরেড শামসুর রহমানকে কমরেড অমল সেন বলেছিলেন বিমলকে বুঝিয়ে যাবেন সে যেন কোনো কর্মী সভায় আমাকে যেতে না বলে। জানি কমরেড বিমল আমার এ কথায় হতাশ হবে কিন্তু আমার তো কোনো উপায় নেই।

উল্লেখ্য, শ্রেণীশত্রু খতমের লাইন আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণের আগে কমরেড অমল সেনকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল। কমরেড অমল সেন আদর্শিক রাজনৈতিক বিশেষ করে কৌশলগত কারণে ওই দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালের অক্টোবরে কমরেড অমল সেনকে গ্রেফতার করে যশোর ক্যান্টনমেন্টে বর্বরোচিত ও অ-মানসিক পন্থায় নির্যাতন করেছিল। কমরেড অমল সেন তাঁর লেখায় বলেছেন, শরীরের বিশেষ অঙ্গে শুকনো মরিচের গুড়া পিচকারি দিয়ে ঢুকিয়ে তারা আত্মতৃপ্তি পেতে চেয়েছিল। এই ধরনের বর্বরোচিত নির্যাতনের পর কমরেড অমল সেনকে যশোর কারাগারে পাঠানো হয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ পাকবাহিনীর বাঙ্গালি জাতি ও জনগণের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ নেমে এলে নড়াইল ও যশোরের পার্টি পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ গড়ার লাইনে অগ্রসর হয়। ২৭শে মার্চ নড়াইল ও ২৮শে মার্চ যশোর অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়। ২৯শে মার্চ যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকবাহিনী ও রেঞ্জার রকেট লাঞ্চার নিক্ষেপ করে এবং জনগণের উপর সশস্ত্র আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন নড়াইলের ইপিসিপি এম-এলের নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব এক হয়ে হাজার হাজার জনতা নিয়ে যশোর অভিমুখে রওনা দেয়। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যতোই টিয়ার গ্যাস, শেলিং হউক না কেন ওই হাজার হাজার জনতা যশোর কারাগার গেট খুলে দেয়। কমরেড অমল সেন, কমরেড বৈদ্যনাথ বিশ্বাস, কমরেড অ্যাডভোকেট সৈয়দ গোলাম মোস্তফা ও গকুল বিশ্বাসকে কারাগার থেকে মুক্ত করে এগারোখানের বাকড়ি গ্রামে নিয়ে আসে। পার্টির পক্ষে নেতৃত্বদায়ী ভূমিকা পালন করেছিলেন কমরেড মমতাজ উদ্দীন, সাইফ হাফিজুর রহমান খোকন, মিজানুর রহমান, মনু জমাদ্দার, সরোয়ারজান মোল্লাসহ আরও অনেকেই। বেশ কয়েক মাস পরে আবারও মিলিত হলাম কমরেড অমল সেনের সাথে।
চলবে/

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button