রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জর কটিয়াদী বাজারের পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে দর্জির দোকানগুলোতে পুরোদমে চলছে পোষাক তৈরির কাজ। সেই সাথে দর্জিপট্ট্রিতে রয়েছে নতুন পোষাক তৈরির হিড়িক। মেঝেতে কাপড়ের স্তূপ। ডান-বায়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও নকশার বানানো পোশাক। সেলাই মেশিনের একটানা খটখট আওয়াজ চলছে। এর মধ্যেই নেওয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুয়ায়ী কাপড় কাটার কাজও। কটিয়াদী বাজারের দর্জির দোকানে ঘুরে দেখা যায় দর্জি কারিগররা ব্যস্ততা ও ক্রেতাদের ভীড় । সেলাই মেশিন আর কাঁচির শব্দ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে সারাক্ষণ। শব্দই বলে দেয় কারিগররা ঈদের পোশাক বানাতে কতটা ব্যস্ত। কিছু দর্জি বলছে আমরা পোষাক তৈরির অর্ডার আর নিচ্ছি না। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং থাকার কারণে কারিগড়রা অর্ডারকৃত পোষাক তৈরি করে সময় মত ডেলিভারি দিতে পারছেনা।
জানা যায়, চাঁদ রাতের আগেই ক্রেতাদের পছন্দের এসব পোশাক ডেলিভারির স্লিপ ধরে ধরে বুঝিয়ে দিতে হবে। তবেই স্বস্তি তাদের। নাহলে মালিকের বকুনি আর ক্রেতার ধমকানিতে মাটি হয়ে যাবে তাদের ঈদ। তাই এখন থেকেই রাত-দিন একাকার করে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। হাতে আর তেমন সময় নেই। যারা তৈরি পোশাক (রেডিমেড) পরতে পছন্দ করেন না বা নিজের পছন্দমতো মাপে ও ডিজাইনে পড়তে অভ্যস্ত, তারা এখন ভিড় করছেন দর্জির দোকানগুলোতে।
পোষাক তৈরির কারিগরড়া জানান, এখন ব্যস্ততাটা একটু বেশিই। তবে এ ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রমজান মাস শুরুর পর থেকেই। শুরুতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, পরিশ্রম একটু বেশি হচ্ছে, তবুও তারা খুশি। কারণ, ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়। এতে বাড়তি আয়ও করা যায়।
কটিয়াদী বাজারের রফিক টেইলার্স এন্ড ফেব্রিক্স এর মালিক মো. রফিকুল আলম জানান, সাধারণ সময়ের থেকে ঈদকে সামনে রেখে রমজানে আমাদের অনেক বেশি পরিমাণ কাজ করতে হয়। রোজা র প্রথম থেকেই কাস্টমার কাছ থেকে প্রচুর পরিমান অর্ডার পেয়ে থাকি, এই অর্ডার গুলো সম্পূর্ণ করতে দিন-রাত কাজ করতে হয়। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং থাকার কারণে অর্ডারকৃত পোষাক তৈরি করে সময় মত ডেলিভারি দিতে পারছি না। আমরা দেশী শার্ট,প্যান্ট ,পাঞ্জাবী ও স্যুট তৈরি করি।