sliderস্থানীয়

কটিয়াদীতে লাউ চাষে স্বাবলম্বী আফাজ উদ্দিন

রতন ঘোষ,কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসদরের কামারকোনা গ্রামের কৃষক আফাজ উদ্দিন লাউ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। কৃষক আফাজ উদ্দিনের সাফল্যে আরও অনেকেই উৎসাহিত হয়ে লাউ চাষ করছেন। যা দেখে কটিয়াদী উপজেলায় বাড়ছে লাউয়ের চাষাবাদ। অল্প খরচে বেশি মুনাফা হওয়ায় লাউ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদপ্তরের। তিনি প্রতি বছরের মতো এবারো কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে ১৪ শতক জমিতে লাউয়ের চারা রোপণ করেন। নিজের পৈতৃক জমিতে ডায়না ও জিরান
জাতের লাউয়ের চারা রোপণ করেছেন। তার ১৪ শতক জমিতে লাউ ধরা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার টাকার লাউ বিক্রয় করেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, লাউ চাষে গোবর, ছাই, কচুরিপানা আর পানিই প্রধান। এইসবের বাইরে রাসায়নিক সারের খুব একটা ভূমিকা নেই বললেই চলে। তাই এক বিঘা জমিতে লাউ চাষে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় না। অন্য ফসলের তুলনায় লাউ চাষে শ্রমও তুলনামূলক কম দিতে হয়। শীতকালীন সবজি হিসেবে ভোক্তাদের কাছে লাউয়ের প্রচুর চাহিদা এবং বাজার দর ভালো থাকায় প্রতি বিঘা জমির লাউ এক লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। এ ছাড়া লাউয়ের ডগা বিক্রি করে আসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পৌরসভা ব্লক মো. মঈনুল ইসলাম বলেন, এলাকার কৃষকরা লাউ চাষ করে বেশ লাভবান হওয়ার পাশাপাশি সবজির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঞা জানান, লাউ সাধারণত শীতকালীন সবজি হলেও,বর্তমানে শীতের আগে আগাম সবজি হিসেবে লাউ চাষের কদর বেড়েছে। বর্ষার শেষ এবং শীতের শুরুতে কৃষকরা এ লাউ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button