কটিয়াদীতে জমির বিরোধে নারীকে বেঁধে নিযা’তন

রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি :কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধ কে কেন্দ্র করে এক নারীকে পিটিয়ে স্কুলের বারান্দায় বেঁধে রাখে। ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান, কটিয়াদি মডেল থানার ওসি তদন্ত ও কয়েকজন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পুলিশ নারীকে উদ্ধার করে কটিয়াদি মডেল থানায় হেফাজতে নিয়ে যায়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চান্দপুর ইউনিয়নের হযরত চান্দুশাহ উচ্চ্ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে স্কুল সংলগ্ন প্রতিবেশী আনসার-ভিডিপির সহকারি প্লাটুন কমান্ডার রাবিয়া খাতুনের সাথে ১২সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জমি নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাবিয়া খাতুন হুমকি দিলে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে রাবিয়া খাতুনকে কিল ঘুষি মারতে থাকলে রাবিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এই দৃশ্য দেখে রাবিয়া খাতুনের স্বামী বাচ্চু মিয়া প্রধান শিক্ষকের দিকে দৌড়ে যান। সেই সময় প্রধান শিক্ষক ভয়ে দৌড়ে কিছুদূর গেলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা তা দেখে লাঠিসোটা নিয়ে ওই দম্পতির উপর হামলা চালায়। সেই সময় ভয়ে বাচ্চু মিয়া দৌড়ে নিজ বাড়িতে ঢুকে বারান্দার গ্রিল লাগিয়ে প্রাণে রক্ষা পান। এদিকে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে রাবিয়া খাতুনকে মারধর করে বারান্দার পিলারের সাথে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এবং নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পুলিশ রাবিয়া খাতুনকে উদ্ধার করে কটিয়াদি মডেল থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে বহুবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কটিয়াদি মডেল থানার ওসি তদন্তকে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে চরম উত্তেজনার কারণে রাবিয়া খাতুনকে নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে কটিয়াদী মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে রাবিয়া খাতুনের জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে।