
রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ভোগবেতালে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মাধ্যমে ৫ জুলাই শনিবার উল্টোরথ যাত্রার মাধ্যমে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গোপীনাথ জীউর রথযাত্রা উৎসব। এ উপলক্ষে উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ভোগবেতালে শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউর গুন্ডিচা বাগে সকাল থেকেই জড় হতে থাকে হাজার হাজার সোনাতনী ভক্তবৃন্দ।
গত ২৭ জুন শুক্রবার শুরু হয়েছিল প্রথম পর্বের রথযাত্রা। ৫ জুলাই শনিবার উল্টো রথ যাত্রার মাধ্যমে শেষ হলো এই রথযাত্রা উৎসব। কিশোরগঞ্জ জেলার মধ্যে কটিয়াদীর ভোগবেতালে সবচেয়ে দূরপাল্লার সর্ববৃহৎ রথ শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিওর নিজস্ব জায়গার উপর দিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবতা গোপীনাথ জিউ তার কাঠের তৈরি বিশেষ বাহনে করে ২৭ জুন নায়রের উদ্দেশ্যে বলরাম তার বোন সুভদ্রা কে নিয়ে শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউ তার গুন্ডিচা বাগে আসেন। ৯ দিন পর অর্থাৎ ৫ জুলাই শনিবার তারা গুন্ডিচা বাগ থেকে নিজ বাড়িতে চলে যান । কথিত আছে যে ভারতের পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রার পরেই দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ রথযাত্রা যা বঙ্গের গোপীনাথ নামেই পরিচিত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই বিশ্বাস থেকেই কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ভোগ বেতালে পালিত হয়ে আসছে রাজা নব রঙ্গ রায় ও ইসাখার স্মৃতি বিজড়িত ৫ শত বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই রথযাত্রা উৎসব।
সকাল থেকেই মন্দিরের আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে। মন্দির ও তার আশপাশ এলাকায় বসে লোকজ মেলা। বিকেল তিনটার পর উৎসব মুখর পরিবেশে নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে হাজার হাজার সনাতনী রমণীদের উলুধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় উল্টো রথযাত্রা। পথিমধ্যে রথ সহ গোপীনাথ জীউ, বলরাম ও তার বোন সুভদ্রা কে নিয়ে তার মাসীর বাড়িতে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে (যা গোপীনাথ জীউর মন্দিরে নিজস্ব জায়গা) গোপীনাথ জীউর নিজ বাড়িতে এসে শেষ হয় উল্টো রথযাত্রা উৎসব। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন এ উপলক্ষে করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।