কটিয়াদীতে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হল বাল্যবিবাহ

রতন ঘোষ, কটিয়াদী প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল এক স্কুল ছাত্রী এবং লিখিত মুছলেকা দিয়ে সাজা থেকে বেঁচে গেল মেয়ের মা। ঘটনার সূত্রে জানা যায়,১১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে জালালপুর ইউনিয়নের চর নোয়াকান্দি গ্রামে নবম শ্রেণীতে অধ্যায়নরতা ছাত্রীর (১৪)সঙ্গে একই গ্রামের শাফি মিয়ার ছেলের বিয়ের আয়োজন চলছিল। সেই সাথে চলছিল বরযাত্রী ও অতিথিদের আপ্যায়নের প্রস্তুতি। এদিকে বিয়ে নিবন্ধনের জন্য কাজী ডেকে ও আনা হয়, কিন্তু বিপত্তি বেধে যায় কনের বয়স নিয়ে। কনে অপ্রাপ্তবয়স্কা এবং স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এই খবরটি উপজেলা প্রশাসন জানতে পেরে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান জাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আছমা আক্তার, কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম শাহাদাত হোসেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম সমন্বয়ে পুলিশ ফোর্স ও আনসার সদস্যদের নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয়ে, নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান এই বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আছমা আখতার জানান, এই বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে আমরা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আসি এবং উনার নির্দেশেই এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আছমা আক্তার আরও জানান, বাল্যবিবাহ হচ্ছে মাতৃ মৃত্যু ও নারী নির্যাতন ইত্যাদির অনুঘটক। তাছাড়া বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে উপস্থিত অভিভাবকদের অবহিত করা হয়। সেই সময় মেয়ের মা, ১৮ বছরের আগে তার মেয়েকে কোন অবস্থাতেই আর বিয়ে দেবে না মর্মে একটি লিখিত মুছলেকা দিয়ে সাজা থেকে বেঁচে যান।