বলিউড অভিনেত্রী ও ভারতের বিজেপি দলীয় সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাউতকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সিআইএসএফ জওয়ান কুলবিন্দর কউরকে। এবার তার সমর্থনে পথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের কৃষকেরা। দেশটির একাধিক কৃষক সংগঠনের দাবি, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যেন কোনো অযৌক্তিক পদক্ষেপ না নেয়া হয়। আগামী ৯ জুন একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন তারা।
শুক্রবার আনন্দবাজার জানিয়েছে, পাঞ্জাবের মোহালির রাস্তায় নেমে রোববার এসপি অফিসের সামনে প্রতিবাদ জানাবেন কৃষকেরা। এটির নাম ‘ইনসাফ’ যাত্রা।
কৃষক সংগঠনগুলোর দাবি, বিমানবন্দরে যে ঘটনা ঘটেছে তার সঠিক তদন্তের প্রয়োজন। কেন এমন ঘটনা হলো, তা খতিয়ে দেখেই ব্যবস্থা নেয়া হোক।
সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা, কিষাণ মজদুর মোর্চার তরফ থেকে শুক্রবার জানানো হয়, তারা কুলবিন্দরের সমর্থনে তার পাশে দাঁড়িয়েছে।
সম্মিলিত কিষাণ মোর্চার এক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল বলেন, ‘আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। নারী কনস্টেবলের সাথে কোনো অবিচার করা উচিৎ নয়।’
বৃহস্পতিবার দিল্লিগামী বিমান ধরার জন্য চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। নিরাপত্তা তল্লাশির সময়ে ওই সিআইএসএফ কনস্টেবলের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, কঙ্গনা নিজের মোবাইল তল্লাশির জন্য নির্দিষ্ট ট্রে-তে রাখতে চাননি। এর পরই নারী নিরাপত্তারক্ষী এসে কঙ্গনাকে সপাটে থাপ্পড় মারেন।
কুলবিন্দর নিজে স্বীকারও করেছেন সে কথা। এ-ও জানিয়েছেন, ২০২০ সালে কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঙ্গনার পুরনো মন্তব্যের জন্য এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘তিনি একটি মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, কৃষকেরা ১০০ টাকার বিনিময়ে সেখানে বসে রয়েছেন। তিনি কি সেখানে গিয়ে বসে থাকবেন? তিনি যখন এসব বলেছিলেন, তখন আমার মা সেখানে গিয়ে বসে প্রতিবাদ করছিলেন।’
কৃষক আন্দোলন চলাকালীন কঙ্গনা একবার বলেছিলেন, ১০০ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করতে বসেছেন কৃষকেরা। এই মন্তব্যের জেরেই কঙ্গনাকে চড় মেরেছেন বলে জানিয়েছেন কুলবিন্দর। চণ্ডীগড় থেকে বিমান ধরে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান কঙ্গনা। তাকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তারপরই অভিযুক্ত কুলবিন্দরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বৃহস্পতিবারই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। শুক্রবার কুলবিন্দরকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। সূত্র : আনন্দবাজার