sliderউপমহাদেশশিরোনাম

কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচনে লড়বেন না গান্ধীরা

ভারতের কংগ্রেস নিয়ে চলছে এখন তুমুল আলোচনা। কাশ্মীরের নেতা গুলাম নবি আজাদ পদত্যাগ করেছেন। তার সাথে কাশ্মীরের ৬৪ জন নেতা ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। গুলাম নবি নিজের দল করবেন বলে জানিয়েছেন। গুলামের পর আবার গান্ধী পরিবারের তীব্র সমালোচনা করেছেন আনন্দ শর্মা। প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতারা কী করবেন? তারা কি গুলামের দলে যোগ দেবেন, নাকি, কংগ্রেসে থেকেই বিদ্রোহ করে যাবেন।
এই বিদ্রোহের মধ্যেই কংগ্রেসে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং ১৭ অক্টোবর নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে।
কে হবেন নতুন সভাপতি?
এই প্রশ্নের জবাব এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। এখনো পর্যন্ত একমাত্র সংসদ সদস্য শশী থারুর সভাপতি পদে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি মালয়ালম পত্রিকায় একটি নিবন্ধ লিখেছেন। সেখানে কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন ও কেন তা জরুরি তা বিস্তারে ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি বলেছেন, অনেকেই নিশ্চয়ই নির্বাচনে লড়বেন এবং তার আগে তারা নিজের ভিশনের কথা বলবেন। তিনি বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন খুবই জরুরি।
পরে থারুর বলেছেন, নির্বাচনে লড়া নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে দলের সভাপতি হিসাবে চাইছে গান্ধী পরিবার। কারণ, গেহলট অন্য অনগ্রসর জাতির নেতা, তিনি হিন্দিভাষী এবং তিনি কখনই রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন না। তাকে সভাপতি করে শচীন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইবেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা। শচীন তাদের খুবই ঘনিষ্ঠ নেতা।
প্রশ্ন হলো, গেহলট কি এই প্রস্তাবে রাজি হবেন? রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি কংগ্রেস সভাপতির পদে আগ্রহী হবেন কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গেহলট রাজি না হলে, গান্ধী পরিবারকে অন্য নেতা খুঁজতে হবে। সেক্ষেত্রে দলিত নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম আলোচনায় আছে। আর কিছু দিনের মধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
বিক্ষুব্ধরা কী করবে?
প্রশ্ন হলো, কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা কী করবেন? তারা এখনো রণনীতি স্পষ্ট করেননি। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আনন্দ শর্মা ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। বৈঠক অনলাইন হয়। সেখানে সনিয়া গান্ধী বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নেতা মধুসূদন মিস্ত্রিকে জবাব দিতে বলেন।
আনন্দের অভিযোগ ছিল, কারা ভোটার, সেই তালিকাই রাজ্য নেতাদের দেয়া হয়নি। সনিয়া গান্ধী বলেন, ভোটার তালিকা অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে এবং নির্বাচন যেন অবাধ হয়। সেই প্রক্রিয়া চলছে।
তারপর বুধবার কার্তি চিদাম্বরম এবং মনীষ তিওয়ারি টুইট করে একই প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেছেন, সব রাজ্য কমিটির কাছে ভোটার তালিকা পাঠাতে হবে। তালিকা প্রকাশও করতে হবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button