
এক দল টি-টোয়েন্টি র্যাকিংয়ে অবস্থান করছে, অপর দল নয় নম্বরে। তবে টি-টোয়েন্টি বলেই কিনা র্যাংকিংয়ে বিশ্বাস রাখতে চাইবে না কোনও দলই। বিশ্বাস রাখেনি আইসিসির সহযোগী দেশ আফগানিস্তানও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছয় রানের জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লো দক্ষিণ এশিয়ার দলটি।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ১২৪ রান। জবাবে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং আর মোহাম্মদ নবী-রশিদ হাসানের বোলিং তোপে ১১৪ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ওপেনার জনসন চার্লসের ২২ রানের ইনিংস কিংবা ডোয়াইন ব্রাভোর ২৯ বলে করা ২৮ রান দলকে শক্ত অবস্থান দিতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। শেষদিকে কার্লোস বার্থওয়াইট শেষ চেষ্টাটা করেছিলেন ব্যাট হাতে। আট বলে দুইটি ছয় হাঁকালেও, ইনিংসের তিন বল হবাকি থাকতেই নবীর বলে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বাকি তিন বলে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিলো ১১ রান। কিন্তু তিন রানের বেশি তুলতে পারেনি স্যামুয়েল বদ্রি- আন্দ্রে ফ্লেচার।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নাজিবুল্লাহ জারদানের অপরাজিত ৪৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১২৩ রান তুলতে সমর্থন হয় আফগানিস্তান। এছাড়া মোহাম্মদ শেহজাদের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান।
জানিয়ে রাখা ভালো, গত বছরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩-২ এ ওয়ানডে সিরিজ জেতে আফগানিস্তান। এরপর এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জয় দিয়ে আলোড়ন ফেলে দিলো দলটি। এর আগে বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ের মতো দলকে হারিয়েই মূল পর্বে সুযোগ পায় আফগানিস্তান। এটি ছিল তাদের শেষ ম্যাচ। প্রিয়.কম