বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া আত্মহত্যার শামিল। আত্মহত্যা যারা করে জনগণ তাদের দিকে তাকায়ও না। তাই এ সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়।
রোববার বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সেক্রেটারি মিয়া মোহাম্মদ সেলিমের মৃত্যুতে নরসিংদীতে আয়োজিত স্মরণসভায় এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা বিএনপি ওই সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কারো শলাপরামর্শে নির্বাচনে যাওয়া ঠিক হবে না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আর বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর আগে একদলীয় শাসন ছিল। তাই আমাদের প্রথম কাজ হবে এই সরকারকে পতনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের লড়াই, সত্যের লড়াই ও মানুষের অধিকারের লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হওয়া।’
সভার সভাপতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পায়। তাই বিএনপির সব সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে পুলিশ ও প্রশাসন লেলিয়ে দিয়ে বিএনপির সভা সেমিনার পণ্ড করতে ব্যস্ত থাকে। শুধু সভা সেমিনার নয়,এখন নেতাকর্মীদের স্মরণসভা করতেও তাদের আপত্তি। অনুষ্ঠানের সাতদিন আগে শিল্পকলা একাডেমি ব্যবহার করার অনুমোদন দেয় স্থানীয় প্রশাসন। অথচ অনুষ্ঠানস্থলে গেলে পুলিশ আমাদের অনুষ্ঠান করতে দেয়নি।
সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য রোকেয়া আহাম্মেদ লাকী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মনোহরদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব) জয়নুল আবেদীন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী, হারুন আর রশিদ, গোলাম কবির কামাল, যুবদলের আহ্বায়ক মহসিন হোসেন বিদ্যুৎসহ অন্য নেতারা।
সুত্র : এনটিভি
