নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা মন্তব্য করেছেন এসপি সন্ত্রাসীদের গডফাদার। তিনি বলেন,এসপি হত্যাকারীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয়।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ও নার্স শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
কাদের মির্জা বলেন, গত এক বছর থেকে কোম্পানীগঞ্জে সন্ত্রাস চলছে। এ এলাকার মনে হয় কোন অভিভাবক নেই। আজকে প্রশাসন এখানে সকল নৈরাজ্যের সাথে জড়িত। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীরা আমাকে গুলি করেছে। প্রকৃত অপরাধীরা পুলিশের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, থানায় অবস্থান করছে। পুলিশ আজকে জনগণের অতন্ত্র প্রহরী না হয়ে জনগণের উপর অত্যাচার করছে। কোম্পানীগঞ্জে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এটার সাথে এসপি,ইউএনও-ওসি জড়িত। খুনির কাছে খুনির বিচার চেয়ে কোন লাভ নেই। এখানে আন্দোলন করতে হবে।
তিনি বলেন, এই এসপি অযোগ্য অর্থব্য ঘুষ খোর। এ এসপি যদি নোয়াখালী থেকে না যায়, এ অযোগ্য অর্থব্য ইউএনও-ওসি যদি কোম্পানীগঞ্জ থেকে না গেলে কোম্পানীগঞ্জে শান্তি আসবেনা। এটার বিকল্প নেই। তাদেরকে বিড়াড়িত করতে। এখন তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নারী-পুরুষ রাস্তায় নামতে হবে। বিকল্প নেই। আমরা কোন দেশে বসবাস করি। এ দেশের কি অভিভাবক নেই? এটা কি চলতে দেওয়া যায়। আমি কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় করিনা। আমাদের হারাবার আর কিছু নেই,পাওয়ারও আর কিছু নেই।
কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব কোম্পানীগঞ্জের যদি এ গুলার বিচার না করা হয়। আপনাকে সব দায় দায়িত্ব নিতে হবে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়াম্যানকে সমস্ত দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। কোন অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হবেনা। বলরাম হত্যার সাথে কোম্পানীগঞ্জের ওসি জড়িত। আমি শতভাগ নিশ্চিত।
কাদের মির্জার মন্তব্যের বিষয়ে জানতে দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাঁর মুঠোফোনের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা পর্যন্ত বসুরহাট মর্ডাণ হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন নিহত প্রিয়তা। পরের দিন সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইয়াছিন মোল্লা বাড়ির পাশের একটি ধান খেত থেকে শাহানাজ পারভীন প্রিয়তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। নিহত শাহনাজ পারভীন প্রিয়তা পার্শ্ববতী কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের নুরনবীর মেয়ে। সে সরকারি মুজিব কলেজ স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি বসুরহাট মর্ডাণ প্রাইভেট হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিল।