
রাত পোহালেই এশিয়া কাপ। ক্রিকেট উৎসবের রঙে রঙিন হবে গোটা এশিয়া। মেতে উঠবে একই আমেজে। পাওয়া না পাওয়ার ভীড়ে উত্তেজনা আর শিহরণে প্রস্তুত সবে। প্রস্তুত সবাই এশিয়ার ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই মহারণ বরণে।
আগামীকাল বুধবার ৩০ আগস্ট মাঠে গড়াবে এবারের এশিয়া কাপ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও নেপাল। সেই অপেক্ষায় থাকতে থাকতে এই ফাঁকেতে চলুন দেখে আসি টুর্নামেন্টের ইতিহাস। কে কতোবার চুমু আঁকলো শিরোপায়, আর কে হলো সেই আসরগুলোর সেরা খেলোয়াড়? চলুন চিনে আসি তাদের—
এশিয়া কাপ ইতিহাসের সবচেয়ে সফলতম দল ভারত। ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। তারা শিরোপা জিতেছে যথাক্রমে— ১৯৮৪, ১৯৮৮, ১৯৯০, ১৯৯৫, ২০১০ ও ২০১৮ সালে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফলতম দল শ্রীলঙ্কা। মোট ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হবার স্বাদ পেয়েছে তারা। লঙ্কানরা শিরোপা জেতে যথাক্রমে— ১৯৮৫-৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩-১৪ ও ২০২২ সালে।
এর বাহিরে পাকিস্তান শিরোপা জেতে ২ আসরে; ২০০০ ও ২০১২ সালে। বিপরীতে তিনবার ফাইনাল খেলেও এখনো শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
এশিয়া কাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সনাথ জয়াসুরিয়ার। তিনি সংগ্রহ করেছেন ১২২০ রান। সর্বোচ্চ ৬ সেঞ্চুরিও জয়সুরিয়ার দখলে। বিপরীতে ৩৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট লাসিথ মালিঙ্গার। ইনিংসে ৫ উইকেট তিনি ৩ বার করে৷
এশিয়া কাপের অনুষ্ঠিত ১৫ আসরে ১৩ জন টুর্নামেন্ট সেরা দেখেছে বিশ্ব। ২ জন টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন একাধিকবার করে। চলুন দেখে আসি..
১৯৮৪ সালে প্রথম আসরে সুরিন্দর খান্না ১০৭ রান করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। ১৯৮৬ সালে লঙ্কানদের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা অবশ্য ১০৫ রান করেই আসর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
১৯৮৮ ও ১৯৯৫ সালের পরপর দুই আসরেই আসর সেরার নাম নভজ্যোৎ সিং সিধ্যু। ১৯৮৮ সালে ১৭৭ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন তিনি। তবে ১৯৯৭ সালে ফের অর্জুন রণতুঙ্গা ফিরে আসেন, ব্যাট হাতে ২৭২ রান করে এশিয়ার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পুনরুদ্ধার করেন।
পাকিস্তানকে প্রথমবার শিরোপা জেতানোর পথে আসর সেরা মোহাম্মদ ইউসুফ হয়েছিলেন সেবারের আসরসেরা খেলোয়াড়; ২৯৫ রান ছিলো তার ব্যাটে। আর ২০০৪ সালে সনৎ জয়সূরিয়া আসরসেরা খেলোয়াড় হন ২৯৩ রান ও ৪ উইকেট নিয়ে।
১৭ উইকেট শিকার করে ২০০৮ সালে রহস্যময় স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস পেয়েছিলেন আসর সেরার পুরস্কার। ২০১০ সালে ২৬৫ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে সেবারের আসর সেরা হন শহিদ খান আফ্রিদি।
আর বাঙালীর ভুলতে না পারা অশ্রুসিক্ত ২০১২ সালের আসরটা ছিলো সাকিবময়। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করেন তিনি। ২৩৭ রান ও ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে জায়গা পান এশিয়ার আসর সেরা খেলোয়াড়দের ইতিহাসে।
২০১৪ সালে লাথিরু থিরিমানে ২৭৯ রান করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নেন। তবে ফের ২০১৬ সালে সাব্বির রহমান আসর সেরার নাম লিখেন লাল-সবুজের কালিতে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সেই এশিয়া কাপে ১৭৬ রান করে দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে এশিয়া কাপের আসর সেরা নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৮ সালে শিখর ধাওয়ান ৩৪২ রান নিয়ে আসর সেরার তকমা আঁটেন। আর সর্বশেষ ২০২২ সালে টুর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই এশিয়া কাপ আসরে মাত্র ৬৬ রান ও ৯ উইকেট নিয়েই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন এই লঙ্কান।