এবার নাকের স্প্রেই করোনার টিকা, ট্রায়ালের অনুমোদন চিনে

করোভাইরাস প্রতিরোধ করতে নাকে স্প্রে। নতুন প্রতিষেধকের ট্রায়ালে অনুমোদন দিল চিন। নাকের স্প্রে-তে করোনার টিকা একেবারেই চিনের নিজস্ব আবিষ্কার বলে দাবি করা হচ্ছে। এর প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নভেম্বরে শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ জন্য ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়োগ করা হয়েছে।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এ ধরনের টিকা এটাই প্রথম যেটা চিনের ন্যাশনাল মেডিক্যাল প্রডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদন পেয়েছে। হং কং-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা এই টিকা নিয়ে গবেষণা করছেন হং কং বিশ্ববিদ্যালয়, শিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয় ও বেইজিং ওয়ানটাই বায়োলজিক্যাল ফারমেসির গবেষকরা।
হং কং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ইউয়েন কোক-ইউং জানিয়েছেন, এই টিকা সংক্রমণের রাস্তাকে স্বাভাবিক উপায়ে উদ্দীপিত করে, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই নেজাল ভ্যাকসিন ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাভাইরাস, উভয় ক্ষেত্রেই দ্বৈত সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবে। এইচ১এন-১, এইচ৩এন২ এর মতো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও এই টিকা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ইঞ্জেকশনের থেকে নেজাল ভ্যাকসিন মানুষের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বলেও দাবি করেছেন গবেষকরা। তবে ইমিউনোলজিস্টদের দাবি, নয়া এই টিকার নির্ধারিত কোনও সাইড এফেক্ট না-থাকলেও, অ্যাস্থমা বা শ্বাসকষ্টের মতো রেসপিরেটরি সিস্টেমে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তা যাতে না আসে, সেই দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি গবেষকদের। তবে ইঞ্জেকশনের টিকার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যতদিনের জন্য শরীরে আসবে, নেজাল ভ্যাকসিনেও সেই একই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য চিন তিনটি কোভিড ১৯ টিকার ট্রায়ালে অনুমোদন দিয়েছে। কয়েকটি অন্তর্দেশীয় কোম্পানির তৈরি করা কোভিড ১৯ প্রতিষেধকের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারেও অনুমতি দিয়েছে বেইজিং।
বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ লাখ ৪ হাজার মানুষের। আক্রান্ত ২৭ মিলিয়ন। শুক্রবার সকালে প্রকাশিত মেডিক্যাল বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ হাজার ৫৫১ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। নয়া সংক্রমণে মোট আক্রান্তের সংখ্য়া হয়েছে ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১৫ জন। এখনও চিকিত্সাধীন ৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৮৮০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ৭৭.৬৫%। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৬ হাজার ২৭১। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২০৯ জনের। মৃতের হার ১.৬৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৪২ জনের কোভিড পরীক্ষা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। সূত্র: এই সময়