
বছরের সেরা পুলিশ কর্মকর্তার সম্মান পেলেন দুই বাংলাদেশি
পর পর তিন বছর সেরা পুলিশ কর্মকর্তার সম্মান অর্জনের পর এবার এনওয়াইপিডি মুসলিম অফিসার্স সোসাইটির ‘বছরের সেরা পুলিশ কর্মকর্তা’র সম্মান পেলেন অফিসার হুমায়ূন কবীর। তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক। একই অনুষ্ঠানে বছরের সেরা বেসামরিক কর্মকর্তার সম্মাননা দেওয়া হয় ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট এজেন্ট মোহাম্মদ আলীকে।
এই দুই বাংলাদেশি কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য নিউইয়র্ক পুলিশের কমিশনার জেমস ও’নিল, নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিশিয়া জেমসসহ ১১ জনকে ওই অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয়। এরমধ্যে একজনকে মরণোত্তর সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ফ্ল্যাশিংয়ের টেরেস অন দ্য পার্ক মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিশিয়া জেমস বলেন, নিউইয়র্ক সিটিকে নিরাপদ রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে পুলিশ বিভাগ। যে কারণে এই সিটির অপরাধপ্রবণতা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভাল। তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটি সব অভিবাসীর জন্য নিরাপদ আবাসস্থল। আর এটি সম্ভব হয়েছে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার জেমস পি. ও’নিল বলেন, বিশ্বের রাজধানীখ্যাত নিউইয়র্ককে অধিকতর নিরাপদ রেখেছে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ। নগরবাসীর সঙ্গে নিউইয়র্ক পুলিশের যে সুদৃঢ় বন্ধন রয়েছে তা বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। অনুষ্ঠানে ‘বছরের সেরা ব্যক্তি’ হিসাবে পুলিশ কমিশনার জেমস ও’নিলকে সম্মাননা জানানো হয়। কমিউনিটিকে অসামান্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন পাবলিক অ্যাডভোকেট লেটিশিয়া জেমস।
অনুষ্ঠানে সদ্য প্রয়াত এনওয়াইপিডি’র বাংলাদেশি কর্মকর্তা হেমায়েত সরকারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে আমেকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মুসলিম অফিসার্স সোসাইটির প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট আদিল রানা। তিনি ধর্মীয় পরিচয়ের উর্ধ্বে থেকে নিউইয়র্কবাসীকে সেবা করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। নিউইয়র্ক পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাপা’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেফটেন্যান্ট শামসুল হক, ভাইস চেয়ারপারসন লেফটেন্যান্ট মিলাদ খান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি, মিডিয়া লিয়াজোঁ লেফটেন্যান্ট প্রিন্স আলম, সদস্য লেফটেন্যান্ট খন্দকার বাপ্পী, লেফটেন্যান্ট কারাম চৌধুরী, সার্জেন্ট এরশাদ সিদ্দিকী, মাহবুব খান সোহেল, অফিসার আব্দুল লতিফ, অফিসার শেখ আহমেদ, অফিসার শামীম খান, অফিসার রাসেক মালিক, অফিসার সামিনা, অফিসার সুমন, অফিসার তানভীর চৌধুরী প্রমুখ।