sliderঅপরাধশিরোনাম

এক হাজার এতিম খাওয়ানোর শর্তে স্টার কাবাবকে ক্ষমা

কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে পচা ও গন্ধ টিক্কা দেয়ার প্রতিবাদ করায় গ্রাহককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে স্টার কাবাবের কর্তৃপক্ষ। লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়া ও এক হাজার এতিম শিশুকে একবেলা খাবার দেয়ার প্রতিশ্রুতির শর্তে স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ ক্ষমা করে দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই গ্রাহক সাংবাদিক ও কৃষিবিদ সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক।

একইসাথে পুনরায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) স্টার কাবাব অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক প্রতিশ্রুতিনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিশ্রুতিনামায় উল্লেখ করা হয়, ‘গ্রাহক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলককে আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও তিনি তা নিতে অপরাগত প্রকাশ করেন এবং ক্ষমার শর্তস্বরূপ এক হাজার এতিমকে একবেলা বিনামূল্যে খাবার দিতে বলেন। আমরা তার শর্ত মেনে এক হাজার এতিম শিশুকে আগামী ১৫ অক্টোবর ২০২৪-এর মধ্যে এতিমখানায় একবেলা উন্নতমানের খাবার পরিবেশনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

স্টার কাবাব জনগণের ভালোবাসায় আজ পর্যন্ত এগিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিশ্রুতিনামা তিনি লেখেন, ‘সকল ভুল বুঝাবুঝি ভুলে মানুষকে উন্নতমানের খাবার ও সার্ভিস আমরা আগামী দিনে দিয়ে যেতে চাই। আমাদের গ্রাহক, সাংবাদিক সমাজ ও সকল শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আমরা নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।’

ওই প্রতিশ্রুতিনামায় স্বাক্ষর করে স্টার কাবাবকে ক্ষমা করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক। তিনি লেখেন, নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় এবং কোনো ক্ষতিপূরণ না নিয়ে এক হাজার এতিমকে একবেলা খাবার দেয়ার শর্ত মানায় স্টার কাবাবের কর্মচারী এবং স্টার কাবাবকে ক্ষমা করছি।

এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে স্টার কাবাবের বনানী শাখায় মারধার করা হয় সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলককে। এতে তার ডান হাত ও ডান পা ভেঙে যায়, তিনি কপাল ও মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘটনা-সংশ্লিষ্ট এক ভিডিওতে সালেহ মোহাম্মদ রশীদ অলক বলতে শোনা যায়, দুপুরে তিনি ও তার এক বন্ধু খাবার গন্ধ হওয়ার অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ম্যানেজার বলেন যে জীবনে টিক্কা খাননি আপনি, এটা এমনই হয়। এ কথা শুনে অলক প্রতিবাদ করলে আরো তিন গ্রাহকও একই অভিযোগ করেন। এতে ম্যানেজার কলিংবেল চেপে সব স্টাফকে জড়ো করেন এবং স্টাফরা অলককে ধাক্কা দিতে দিতে দোতলা থেকে নিচতলায় নামায়। পরে নিচতলায় সিড়ির নিচে ফেলে তাকে মারধর করে তারা।

অলক বলেছিলেন, ‘দুর্গন্ধযুক্ত খাবারের অভিযোগ করলে স্টার কাবাবের ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে আমাকে মারধর করেছে, মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

অলক একটি অনলাইন নিউজ পেপারের নির্বাহী সম্পাদক পদে রয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button